সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বকাপের (T20 World Cup) প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রায় হেরে যেতেই বসেছিল ভারত (India vs Pakistan)। মাত্র ৩১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা ভারতীয় ইনিংসকে টেনে তোলেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli) ও হার্দিক পাণ্ডিয়া। সেঞ্চুরি পার্টনারশিপ গড়ে লড়াইয়ে ফিরিয়ে আনেন দলকে। শেষ পর্যন্ত বিরাট বিক্রমে পাকিস্তানকে ধরাশায়ী করে দেয় ভারত। হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচের শেষে হার্দিক (Hardik Pandya) বললেন, বিরাটের জন্য গুলি খেতেও রাজি আছেন তিনি।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ জিতে মধুর প্রতিশোধ নিয়েছে ভারত। সেই ম্যাচ জেতানোর দুই কারিগর-হার্দিক ও বিরাটের কথায় উঠে এল, কীভাবে শেষ পর্যন্ত ম্যাচে টিকে থেকে জয়ের রাস্তা তৈরি করেছেন তাঁরা। সেই কথোপকথনের ভিডিও তুলে ধরা হয়েছে বিসিসিআইয়ের ওয়েবসাইটে। প্রথমেই হার্দিকের কথায় উঠে এল হ্যারিস রউফকে মারা বিরাটের দু’টো ছয়ের কথা। ১৯তম ওভারের শেষ দুই বলে পরপর ছক্কা হাঁকান বিরাট। সেখান থেকেই ভারতীয় ড্রেসিংরুমে ফের ম্যাচ জয়ের আশা তৈরি হয়। “আমি নিজে অনেক ছক্কা মেরেছি, কিন্তু ওই দু’টো শট আমার কাছে খুবই স্পেশ্যাল। কোহলি ছাড়া আর কেউ ওইভাবে ছক্কা মারতে পারবে না”, বলেছেন হার্দিক।
[আরও পড়ুন: ‘ফিট ছিলেন না শাহিন’, বিশ্বকাপে ভারতের কাছে হারের পর সাফাই প্রাক্তন পাক ক্রিকেটারদের]
তবে ভারতীয় অলরাউন্ডার আরও বলেছেন, লড়াই করে ম্যাচ ছিনিয়ে নিয়েছেন বলেই এই জয়ের স্বাদ এত মধুর। বিরাটের সঙ্গে আলোচনায় হার্দিক বলেছেন, “দু’জনে মিলে লড়াই করছিলাম বলেই ম্যাচটা আমাদের কাছে এত স্পেশ্যাল হল। যদি সহজ পরিস্থিতি থেকে সুন্দর শট খেলে ম্যাচটা শেষ হয়ে যেত, তাহলে হয়তো এতটা আনন্দ হতো না।” এরপরেই হার্দিক বলেছেন, “আমি যখন ব্যাট করতে নামি, খুব একটা চাপ অনুভব করিনি। সমস্ত অনুভূতি গুলোই কেমন অসাড় হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু মাথায় ছিল একটাই কথা-শেষ পর্যন্ত এই ম্যাচ টেনে নিয়ে যেতে হবে। আউট হয়ে গেলে চলবে না।”
এই প্রসঙ্গেই হার্দিক বলেন, প্রয়োজন পড়লে বিরাটের জন্য গুলি খেতেও রাজি আছেন তিনি। বিরাটের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে হার্দিক বলেছেন , “ওই সময় যা পরিস্থিতি ছিল, তাতে আমি বিরাটের জন্য গুলিও খেয়ে নিতাম। কারণ পাকিস্তান ম্যাচের ভয়ানক চাপ সামলানোর ক্ষমতা একমাত্র বিরাটেরই রয়েছে। তাই যে কোনও মূল্যে ওকে সাহায্য করার জন্যই আমি মাঠে নেমেছিলাম।” বিরাটের সঙ্গে যোগ্য সঙ্গত দিয়ে ৪০ রানের ইনিংস খেলেছেন হার্দিক। বল হাতে তিনটে উইকেটও নিয়েছেন। বিরাটের নায়ক হয়ে ওঠার পিছনে হার্দিকের ভূমিকাও ভুলে যাওয়ার নয়।