স্টাফ রিপোর্টার: দীর্ঘ ৩২ বছর বাদে চন্দননগরের (Chandanagar) ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের দখল নিয়েছে সিপিএম। নামমাত্র ভোটের ব্যবধানে হলেও সিপিএমের অশোক গঙ্গোপাধ্যায় (Ashok Ganguly) জয়ী হয়েছেন। আর এই জয় নিয়ে উচ্ছ্বসিত বাম কর্মীরা বুধবার থেকেই ফেসবুকে লালে লাল করে দিয়েছেন। আর জয়ের মধ্যেও তাৎপর্যপূর্ণ এটাই, জয়ী সিপিএম প্রার্থী অশোক গঙ্গোপাধ্যায় পার্টির সদস্যপদই ছেড়ে দিয়েছেন। গত বছর পার্টির সদস্যপদ নবীকরণই করাননি তিনি। অর্থাৎ, পার্টিতেই নেই তিনি।
পার্টির সদস্য ছাড়াও দল কাউকে প্রার্থী করেছে, এই রেওয়াজ সিপিএমে রয়েছে। পুরসভা ও পঞ্চায়েতস্তরে এমন উদাহরণ বহু রয়েছে। সিপিএম পার্টির সদস্য নন, এমন ব্যক্তি বিধায়কও হয়েছেন। পরে তাঁকে পার্টির সদস্যপদ দেওয়া হয়েছে, এরকম নজিরও রয়েছে। কিন্তু চন্দননগরে যিনি কাস্তে-হাতুড়ি প্রতীকে জয়ী হয়েছেন তিনি পার্টির সদস্য ছিলেন। কিন্তু সেই সদস্যপদ নবীনকরণ করেননি। পার্টির সদস্যপদ ছেড়ে দেওয়ার পরও অশোকবাবুকে প্রার্থী করা ও তাঁর জয় পাওয়া-সাম্প্রতিক সময়ে এটা ব্যতিক্রমী ঘটনা বলেই মত সিপিএমের একাংশের।
[আরও পড়ুন: শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে গিয়ে খুলে গেল ভাগ্য! লটারিতে রাতারাতি কোটিপতি দুই জামাই]
জয়ী সিপিএম প্রার্থী অশোক গঙ্গোপাধ্যায় ভদ্রেশ্বর পুরসভার কর্মচারী ছিলেন। পার্টির জোনাল কমিটির সদস্যও ছিলেন তিনি। কিন্তু কেন অশোকবাবু পার্টির সদস্যপদ নবীকরণ করাননি? তাঁর জবাব, “এ বিষয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না।” জেলা সিপিএম সূত্রে খবর, কয়েকজন নেতার সঙ্গে মতবিরোধের কারণে তিনি গত বছর পার্টির সদস্যপদ ছেড়ে দিয়েছেন। তবে পার্টির সমস্ত কর্মসূচিতেই নিয়মিত অংশ নেন অশোকবাবু। অশোকবাবুর পার্টি সদস্যপদ ছাড়া নিয়ে জেলা সিপিএম নেতৃত্বও অবশ্য কোনও কথা বলতে চায়নি।
চন্দননগরের এই ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে ১৯৯৫ সাল থেকে সিপিএম জিততে পারেনি। স্বাভাবিকভাবেই এই জয়ে উচ্ছ্বসিত বাম শিবির। তাই অশোকের পার্টির সদস্যপদ নবীকরণ না করা নিয়ে তারা এই মুহূর্তে ভাবতে নারাজ। সিপিএম সূত্রে খবর, অশোকবাবুকে অনুরোধ করা হবে পার্টির সদস্যপদ যাতে তিনি নবীকরণ করান।