shono
Advertisement

চরমে লালফৌজের যুদ্ধপ্রস্তুতি, নিশানায় আমেরিকা

'বন্দুকের নলই ক্ষমতার উৎস'| The post চরমে লালফৌজের যুদ্ধপ্রস্তুতি, নিশানায় আমেরিকা appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 11:57 AM Mar 11, 2017Updated: 06:27 AM Mar 11, 2017

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘বন্দুকের নলই ক্ষমতার উৎস’৷ মাও জে দং-এর বিখ্যাত উক্তিটি অক্ষরে-অক্ষরে মেনে চলছে চিন৷ ধৈর্য্য ধরে সামরিক, অর্থনৈতিক শক্তি বাড়িয়ে আজ আমেরিকা ও রাশিয়ার মতো মহাশক্তিধর দেশকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে কমিউনিস্ট দেশটি৷ সম্প্রতি, দক্ষিণ চিন সাগরে বিতর্কিত নির্মাণ করে বেজিং সৃষ্টি করেছে সংঘাতের পরিস্থিতির৷ তাই এবার যেকোনও পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য লালফৌজকে ঢেলে সাজাচ্ছে বেজিং৷

Advertisement

(মোদি ম্যাজিকে ফিকে মহাজোট, উত্তরপ্রদেশে গেরুয়া ঝড়)

সামরিক ক্ষমতায় প্রায় আমেরিকাকে ছুঁয়ে ফেলে এবার চিনা বায়ুসেনার অন্তর্ভুক্ত হল ‘J-20’ স্টেলথ ফাইটার জেট৷ রাডারে অদৃশ্য এই যুদ্ধবিমানটি টেক্কা দেবে অত্যাধুনিক মার্কিন ‘F-22’ যুদ্ধবিমানকে৷ এছাড়াও মহাসাগরে আধিপত্য কায়েম করতে ও মার্কিন নৌসেনা কে জবাব দিতে প্রথমসারির নৌবাহিনী ও মেরিন কর্পস তৈরি করছেন শি জিনপিং৷ ক্ষমতায় এসেই জিনপিং লালফৌজের আধুনিকীকরণে মন দিয়েছেন৷ তাই বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই সেনা এবার পেতে চলেছে স্যাটেলাইট বিধ্বংসী মিসাইল, অত্যাধুনিক সাবমেরিন ও এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার৷

(বহুতল থেকে রং ছুড়লে হতে পারে হাজতবাসও)

বৃহস্পতিবার, J-20 যুদ্ধবিমানের অন্তর্ভুক্তির কথা জানিয়েছে চিনা সংবাদমাধ্যম৷ এই বিমানটি প্রথম নজরে আসে ২০১০ সালে৷ মার্কিন F-22 ও F-35 যুদ্ধবিমানগুলিকে টক্কর দিতে এই বিমান বানানো হয়েছে৷ এছাড়াও, J-31 নামের আরেকটি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান বানাচ্ছে চিন৷ ২০১৪ সালে একটি বিমান প্রদর্শনীতে দেখা যায় এই বিমানটি৷

(‘প্রতি বছর ১০০-রও বেশি জওয়ান আত্মহত্যা করছেন’)

এছাড়াও, মার্কিন সেনাকে টক্কর দিতে একটি অত্যন্ত শক্তিশালী নৌসেনার গুরুত্ব বুঝতে পেরেছে চিন৷ তাই এবার চিন মন দিয়েছে অত্যাধুনিক এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার ও সাবমেরিন বানাতে৷ ইতিমধ্যে, স্বশাসিত তাইওয়ানের জলসীমায় ঢুকে পেশিশক্তি প্রদর্শন করেছে লালফৌজের বিমানবাহী রণতরী লিয়াওনিং৷ এছাড়াও দক্ষিণ চিন সাগর ও পূর্ব চিন সাগরে টহল দিয়ে বেড়াচ্ছে চিনা রণতরী৷ চিনা নৌসেনার আধিকারিক, ওয়াং ওয়েইমিং জানিয়েছেন, একটি মেরিন কর্পস বানানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে চিন৷ নাম না করে আমেরিকাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি আরও জানিয়েছেন, ওই জলসীমায় থাকা প্রত্যেকটি যুদ্ধজাহাজের উপর নজর রাখছে চিনা রণতরীগুলি৷ এবং তাঁরা যেকোনও পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে প্রস্তুত৷ ২০২০ সালের মধ্যেই দ্বিতীয় বিমানবাহী রণতরী পেতে চলেছে লালফৌজ৷

(‘অসহিষ্ণুতা’র পাঠ, ১২৫টি স্কুলকে নোটিস পাঠাল শিক্ষা দফতর)

চিনের এই দ্রুত উত্থানে উদ্বিগ্ন ভারত৷ সম্প্রতি, করাচি বন্দরে দেখা গিয়েছে চিনা সাবমেরিন৷ এছাড়াও, ভারত মহাসাগরে একাধিকবার দেখা গিয়েছে চিনা রণতরী৷ তাই এবার আগ্রাসী বেজিংকে রুখতে হাত মিলিয়েছে নয়াদিল্লি ও ওয়াশিংটন৷ দুদেশের মধ্যে সম্পাদিত এক চুক্তির মাধ্যমে এবার ভারতের সামরিক ঘাঁটি ব্যবহার করতে পারবে মার্কিন সেনা৷ তবে যাই হোক না কেন নিজের শক্তি সংহত করে এবার চিন খোলা চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে মহাশক্তিদের

The post চরমে লালফৌজের যুদ্ধপ্রস্তুতি, নিশানায় আমেরিকা appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement