সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডলফিন (Dolphin) অত্যন্ত বুদ্ধিমান প্রাণী। সেই কারণেই তার আচার আচরণ নিয়ে নানা পরীক্ষা নিরীক্ষা চালান বিজ্ঞানীরা। আর এভাবেই তাঁরা জানতে পেরেছিলেন কেমন করে এক তরুণীর প্রেমে ‘অন্ধ’ হয়ে আত্মহত্যা করেছিল একটি ডলফিন! একথা জানিয়েছেন স্বয়ং সেই তরুণী। তবে আজ তিনি অশীতিপর এক বৃদ্ধা। মার্গারেট হোই লোভাট নামের ওই বৃদ্ধার দাবি, মাত্র কুড়ি বছর বয়সে তাঁর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছিল ওই ডলফিনটির।
ঠিক কী হয়েছিল? ১৯৬৩ সালে নাসার অনুদানে একটি পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। সেই পরীক্ষাতেই জড়িয়ে পড়েছিলেন মার্গারেট। আসলে প্রাণীদের সঙ্গে সংযোগ তৈরি করার বিষয়টি তাঁকে বরাবরই টানত। তাঁর আগ্রহ দেখেই তাঁকে ওই সুযোগ দেওয়া হয়। তিনটি ডলফিনের সঙ্গে তিনি সংযোগ তৈরি করা শুরু করেন। এদের নাম ছিল পিটার, পামেলা ও সিসি।
[আরও পড়ুন: Viral Video: সোশ্যাল মিডিয়ায় জনপ্রিয়তার নেশা, ভিড় রাস্তায় উদ্দাম নেচে ভাইরাল তরুণী]
ওই তিনজনের মধ্যে পিটার ছিল অল্পবয়সি ও দুষ্টু। বাকি দু’জনের সঙ্গে নয়, তার সঙ্গেই অদ্ভুত এক সম্পর্ক তৈরি হয় মার্গারেটের। আসলে তাকে ইংরেজি শেখানোর চেষ্টা করতেন তিনি। আর সেই কারণেই জলের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ পিটারের সঙ্গে থাকতে হত তাঁকে। কিন্তু ঠিক কেমন সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল তাঁদের মধ্যে? মার্গারেটের কথায়, ”পিটার আমার সঙ্গে থাকতে চাইত। ও এসে আমার হাঁটু, আমার পা, আমার হাতের মধ্যে মাথা ঘষত। আমার অসুবিধে হত না। তবে বেশিক্ষণ ঘষলে একটু অস্বস্তি হত। ওর দিক থেকে এটা ছিল যৌনতা। তবে আমার আমার দিক থেকে তেমন কিছুই ছিল না।”
এরপরই আচমকা সেই পরীক্ষা বন্ধ করে দেয় নাসা। পিটারকে ১ হাজার মাইল দূরে ফ্লোরিডার এক ছোট ল্যাবরেটরিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এই বিচ্ছেদ সইতে পারেনি পিটার। ‘দ্য গার্ডিয়ান’কে মার্গারেট জানিয়েছেন, ”আমি একটা ফোন পেয়েছিলাম ক’দিন পরে। উনি খবর দিলেন জলের উপরে ভেসে উঠেছে পিটারের দেহ। ও আত্মহত্যা করেছে।”
[আরও পড়ুন: লিঙ্গবৈষম্য অতীত, নস্ট্যালজিয়া উসকে ভাইরাল ক্যাডবেরির নয়া বিজ্ঞাপন]
সেই ল্যাবের দায়িত্বপ্রাপ্ত অ্যান্ডি উইলিয়ামসন চোখের সামনে পিটারকে এভাবে মারা যেতে দেখে অত্যন্ত কষ্ট পেয়েছিলেন। তাঁর কথায়, ”মার্গারেটের চলে যাওয়াটা মেনে নিতে পারেনি পিটার। কী করে প্রেমিকার প্রস্থান মেনেই বা নিত সে? জীবন যখন অসহ্য হয়ে যায়, ডলফিনরা জলের একেবারে তলদেশে চলে যায় নিঃশ্বাস বন্ধ করে। আর নিঃশ্বাসই নেয় না।”