জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: বৈবাহিক সম্পর্কের কথা গোপন রেখে সম্পত্তি ও সোনার গয়না হাতানোর মতলবে এক ব্যক্তিকে বিয়ে করেছিল মহিলা। বিয়ের পরের দিনই অবশ্য ফাঁস হয়ে গেল মহিলার যাবতীয় পরিকল্পনা। স্বামী ফোনের কথোপকথন শুনে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। এরপরে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ওই মহিলাকে গ্রেপ্তার করেছে৷ বৃহস্পতিবার সন্ধেয় ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থানার বাকশার দেহলদহ গ্রামে।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত মহিলার নাম রাখি বিশ্বাস। বাড়ি নদিয়ার চাকদহ থানার চৌগাছা এলাকায়। মহিলার সন্তানও আছে। অভিযোগ, এর আগেও বিয়ের নামে টাকাপয়সা, সোনাদানা হাতিয়ে নিয়েছে ওই মহিলা। ঘটক তার সাগরেদ হিসাবে কাজ করত। ঘটক শান্তি বিশ্বাসের সঙ্গে যোগসাজশ করে বিবাহিত পরিচয় গোপন করে সে। বাগদার সঞ্জিত পালকে বিয়েও করে। সঞ্জিতের টাকাপয়সা, সোনাদানা হাতানোর পরিকল্পনা ছিল রাখির।
[আরও পড়ুন: প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ, হাঁসখালি কাণ্ডে গ্রেপ্তার তৃণমূল নেতা সমরেন্দ্র গোয়ালি]
বাগদার দেয়ালদহ গ্রামের সঞ্জিত পাল, পেশায় কুমোর। সম্প্রতি তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে বিয়ের জন্য মেয়ের খোঁজ করছিল। শান্তি বিশ্বাস নামে এক ঘটকের মাধ্যমে চাকদা চৌগাছা গ্রামে রাখি বিশ্বাসের সঙ্গে তাঁর বিয়ে ঠিক হয়। রাখি ও ঘটক শান্তি বিশ্বাস একই গ্রামের বাসিন্দা। ঘটকের মধ্যস্থতায় ২০ এপ্রিল তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে রাখির কথাবার্তা, চলাফেরা সন্দেহজনক লাগতে থাকে সঞ্জীবের৷ এরপরই সঞ্জীব গোপনে তার উপর নজর রাখা শুরু করে৷ বিয়ের পরদিন রাতেই তিনি স্ত্রীর সঙ্গে ঘটক শান্তি বিশ্বাসের ফোনালাপ শুনে ফেলেন।
সঞ্জীব জানান, “ওদের কথোপকথন শুনে আমি জানতে পারি রাখী বিশ্বাস ইতিমধ্যেই অন্য একজনের সঙ্গে বিয়ে করেছে। ঘটকের সঙ্গে যোগসাজশ করে আমার সোনা, টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করে সে। তাই আমাকে বিয়ে করেছিল। ওকে হাতেনাতে ধরে ফেলি।” অভিযোগ পেয়ে পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে অভিযুক্ত মহিলাকে গ্রেপ্তার করে। শুক্রবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হলে রাখির জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক৷ অভিযুক্ত ঘটকের সন্ধান শুরু করেছে পুলিশ।