অর্ণব দাস, বারাসত: এক তরুণী সাইকেল নিয়ে রাস্তা পার হওয়ার সময় চারচাকা গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লাগার উপক্রম হয়। শনিবার দুপুরে উত্তেজনা সামাল দিতে গিয়ে তরুণীর হাতে আক্রান্ত হলেন কর্তব্যরত মহিলা পুলিশকর্মী। অভিযোগ, বটি দিয়ে মহিলা পুলিশ কর্মীর মাথায় কোপ বসায় তরুণী। বারাসতের যশোর রোডের টেলিফোন এক্সচেঞ্জের মোড় সংলগ্ন এলাকা থেকে অভিযুক্ত তরুণী সোনামণি মজুমদারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
স্থানীয় এবং পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, বারাসতের যশোর রোডের টেলিফোন এক্সচেঞ্জ মোড়ের কাছেই সোনামণি মজুমদারের পারিবারিক খাবারে হোটেল আছে। এদিন দুপুরে তিনি সাইকেল নিয়ে রাস্তা পার হয়ে হোটেলেই যাচ্ছিলেন। সেই সময় একটি চারচাকা গাড়ির সঙ্গে তাঁর ধাক্কা লাগার উপক্রম হয়। বিষয়টি নিয়ে সোনামণি গাড়ি চালকের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। অভিযোগ, বচসার মাঝেই ওই গাড়ি চালকের পাশে থাকা ব্যক্তিকে মারধর করে তরুণী।
[আরও পড়ুন: মমতা-অভিষেকের পাশে স্বমহিমায় ‘জেলবন্দি’ অনুব্রতর ছবি, বীরভূমজুড়ে তোরণ TMCP’র]
এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। পথচারীরাও জড়ো হয়ে যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে যান কয়েকজন পুলিশকর্মী। তারা বিবাদমান দু’পক্ষকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। অভিযোগ, সেই সময় সোনামণি মহিলা কনস্টেবল অষ্টমী মণ্ডলকে মারধর করে। এরপরই বারাসত থানার পুলিশ এসে তরুণী গাড়ি তুলে থানায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। অভিযোগ, তখনই সোনামনি রাস্তার ধারের হোটেল থেকে একটি ধারালো বটি দিয়ে এক সিভিক ভলেন্টিয়ারকে কোপ মারার চেষ্টা করে। ওই সময় সহকর্মীকে বাঁচাতে গিয়ে ধারালো বটির কোপ গিয়ে পড়ে পুলিশকর্মী অষ্টমীর মাথায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে বারাসত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তার প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়।
ঘটনাস্থল থেকেই গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্ত তরুণীকে। এই প্রসঙ্গে আক্রান্ত পুলিশকর্মী অষ্টমী মণ্ডল বলেন, “গাড়ির গতি কমিয়ে তরুণীকে গাড়িচালক বাঁচিয়েছিল। এই নিয়েই দু’পক্ষের মধ্যে ঝামেলা চলার সময় ওই তরুণী ড্রাইভারের পাশে থাকা ব্যক্তিকে মারধর করছিল। তখনই আমরা পরিস্হিতি সামাল দিতে যাই। তরুণীকে সরিয়ে দিতে গেলে সে আমাকে কিল, চড়, ঘুষি মারতে থাকে। এরপর পুলিশ এসে তাঁকে গাড়িতে তুলতে গেলে ফের সে হোটেল থেকে বটি নিয়ে এক সিভিক ভলেন্টিয়ারকে কোপাতে যায়। তাকে বাঁচাতে গিয়ে আমার মাধায় কোপ লাগে।”
[আরও পড়ুন: কয়লা, বালি ছেড়ে অস্ত্রের কারবার? পাণ্ডবেশ্বরে বিপুল আগ্নেয়াস্ত্র-সহ গ্রেপ্তার পাচারকারীর দেহরক্ষী]
অন্যদিকে, অভিযুক্ত সোনামণি মজুমদার বলেন, “আমি কোনো অন্যায় করেননি। আমি কিছু দিয়েই মারিনি। রাস্তা পার হওয়ার সময় আমাকে গাড়ি ধাক্কা মারতে যায়। এই নিয়ে বলতে গেলে গাড়ির চালক উলটে আমাকেই মারতে যায়। পুলিশ কর্মীরা এসেও আমাকেই দোষ দিচ্ছিল।”