বিক্রম রায়, কোচবিহার: চোপড়া, আড়িয়াদহের পর কোচবিহার। জমিজমা সংক্রান্ত বিবাদের জেরে মহিলাকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ। এই ঘটনায় কাঠগড়ায় স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ও তাঁর ভাই। ঘটনার ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল। যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল। নির্যাতিতা বর্তমানে মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
কোচবিহারের মাথাভাঙা কান্দুড়া মোড়ের বাসিন্দা ওই মহিলা। তিনি দুই সন্তানের মা। তাঁর স্বামী কর্মসূত্রে ভুটানে থাকেন। নির্যাতিতার দাবি, ওই এলাকার একটি সরকারি জমিতে বাস করতেন তিনি। সেখান থেকে তাঁকে উচ্ছেদ করে দেওয়া হয়। অথচ ওই জমিতেই নাকি গত বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেশী বেড়া দিচ্ছিলেন। মহিলা তারই প্রতিবাদ করেন।
[আরও পড়ুন: খাস কলকাতায় খুন? যুবকের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য]
মহিলার দাবি, বচসা চলাকালীন স্থানীয় উপপ্রধান ও তাঁর ভাই এসে পৌঁছয়। উপপ্রধানের প্রায় ৪০-৫০ জন অনুগামীও ঘটনাস্থলে পৌঁছন। তাঁরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই মহিলাকে মারধর করতে শুরু করেন। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে কখনও লাঠি দিয়ে মারধর করা হয়। আবার কখনও ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেওয়া হয় তাঁকে। মাঝরাস্তায় ওড়নাও খুলে দেওয়া হয় মহিলার। নির্যাতিতার দাবি, বেধড়কের মারধরের পাশাপাশি ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাতও করা হয়।
অকথ্য অত্যাচারের ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল। মহিলা বর্তমানে মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশের কাছে অভিযোগও দায়ের করেছেন ওই নির্যাতিতা। উপপ্রধান হাসেম আলি অবশ্য মারধরের অভিযোগকে মানতে নারাজ। নির্যাতিতা মিথ্যা অভিযোগ করছেন বলেই দাবি তাঁর। তবে এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে আসরে নেমেছে বিজেপি। এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের।