সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: রাজ্যে একের পর এক গণপিটুনির ঘটনা ঘটেই চলেছে। কখনও মোবাইল চোর কিংবা কখনও শিশুচোর সন্দেহে চলছে মারধর। কোনওভাবেই যেন এই সংক্রমণ রোখা যাচ্ছে না। এবার গণপিটুনির ঘটনাকে কেন্দ্র করে নদিয়ার শান্তিপুরের গোবিন্দপুরে ব্যাপক চাঞ্চল্য। ভারসাম্যহীন এক মহিলাকে ছেলেধরা সন্দেহে গাছে বেঁধে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ। এলাকার মহিলাদের হাতেই আক্রান্ত হতে হয় তাঁকে।
স্থানীয়দের দাবি, বুধবার সকাল থেকে এক মহিলা শান্তিপুরের গোবিন্দপুরের উত্তরপাড়া এলাকায় ঘোরাঘুরি করছিলেন। অপরিচিত ওই মহিলাকে দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। ওই সন্দেহে গাছে বেঁধে রাখা হয় মহিলাকে। তাঁর সঙ্গে একটি ব্যাগ ছিল। ওই ব্যাগেও তল্লাশি চালানো হয়। ব্যাগ থেকে কিছু টাকাপয়সা, বই, খাতা ও পেন পাওয়া যায়। এলাকার মহিলাদের দাবি, তাতেই নাকি সন্দেহ আরও জোরাল হয়। এর পরই শুরু হয় অকথ্য অত্যাচার। গাছে বেঁধে ওই মহিলাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। বার বার নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন ওই মহিলা। তবে তাঁর কাকুতি মিনতিতে মন গলেনি 'অত্যাচারীদের'। পরিবর্তে পুলিশ ঘটনাস্থলে না পৌঁছনো পর্যন্ত চলে অকথ্য অত্যাচার।
গাছে বেঁধে ছেলেধরা সন্দেহে মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলাকে বেধড়ক মার
[আরও পড়ুন: স্বামী অন্য সঙ্গীদের নিয়ে ব্যস্ত! ইনস্টাগ্রামেই ‘তিন তালাক’ দিলেন দুবাইয়ের রাজকুমারী]
এদিকে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় শান্তিপুর থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। মহিলাকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশের দাবি, ওই মহিলা মানসিক ভারসাম্যহীন। শান্তিপুর থানার হরিপুর সাহেবডাঙার বাসিন্দা। কয়েকদিন আগে শান্তিপুর হাসপাতালে ভর্তি হন। মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় হাসপাতাল থেকে আচমকাই বেরিয়ে যান। বুধবার শান্তিপুরের গোবিন্দপুরের উত্তরপাড়া এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। পুলিশের তরফে তাঁকে পরিজনদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এই মহিলাকে মারধরের ঘটনায় এখনও কেউ আটক বা গ্রেপ্তার হয়নি। আবারও এই ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে তাই এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে।