নন্দন দত্ত, সিউড়ি: স্বামীর পরকীয়ার ফলে সাংসারিক টানাপোড়েন। আর তার জেরে সদ্যোজাতকে গলা টিপে খুন করে আত্মহত্যার চেষ্টা। শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ মৃত সন্তানের মা, দাদু-সহ মোট ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। পলাতক সদ্যোজাতর বাবা।
শান্তিনিকেতন থানার রূপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হেদোডাঙ্গার বাসিন্দা সোনাই টুডু (২৫) ও তাঁর স্ত্রী মালতী টুডু (২২)। বছর দুয়েক আগেই তাদের বিয়ে হয়। অভিযোগ, শনিবার সন্ধেয় ১৮ দিনের সদ্যোজাতকে নিজের বাড়িতেই প্রাণে মেরে ফেলে মা। শিশুকে মেরে নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করে। তবে প্রতিবেশীদের তৎপরতায় কোনওরকমে প্রাণে বাঁচে আদিবাসী বধূ।
[আরও পড়ুন: ‘ধম্মের’ ষাঁড় দুটো গেল কোথায়? কাঠগড়ায় তৃণমূল নেতা, তদন্তে পুলিশ]
স্থানীয় সূত্রে খবর, সোনাই টুডু বিয়ের আগে থেকেই একজন মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এই ঘটনা জানাজানি হতেই সদ্যোজাত সন্তানকে নিয়ে মালতী আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। সদ্যোজাতকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে বলেই অভিযোগ। নিজের বাড়িতেই সদ্যোজাত শিশুটির নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। আর্তনাদ শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে আসে। গলায় দড়ির ফাঁস লাগানো অবস্থায় মালতীকে উদ্ধার করে। প্রাণ বাঁচে তার।
শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। সদ্যোজাতর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। মালতী, দাদু তালা টুডু-সহ পরিবারে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে বাবা সোনাই টুডু পলাতক। তার খোঁজে চলছে জোর তল্লাশি। দম্পতির প্রতিবেশী লক্ষ্মীরাম টুডু ও বিজয় হেমব্রম জানায়, সোনাই টুডু ও মালতী টুডুর সঙ্গে প্রায়ই অশান্তি হত। অশান্তির কারণ ওই পরকীয়া। এমনকী স্বামী লক্ষীরাম প্রায় প্রতিদিনই স্ত্রী মালতীর মৃত্যু কামনা করত। এবং ঝগড়ার সময় স্ত্রীকে মেরে ফেলার হুমকিও দিত। অন্যদিকে মালতী টুডুর পরিবারের দাবি, বিয়ের কিছুদিনের মধ্যে যে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে তাকে নিয়ে বলার কিছু নেই। সোনাই টুডুকে অবিলম্বে গ্রেপ্তারির দাবি জানিয়েছে পুলিশ।