শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: স্বামীর জুয়া খেলায় অতিষ্ঠ স্ত্রী। শেষপর্যন্ত দুই সন্তানকে ঘুম পাড়িয়ে রেখে চরম পথ বেছে নিলেন তিনি। বন্ধ ঘরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করলেন। বৃহস্পতিবার সকালে বধূর রহস্যমৃত্যু ঘিরে উত্তর দিনাজপুরের তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। ঘটনার পর থেকেই স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন বাড়ি থেকে উধাও।
ইসলামপুরের সুজালি কমলাগাঁও পঞ্চায়েতের গমিরগছ গ্রামের মাদ্রাসাহাট এলাকার বাসিন্দা তাহেরা খাতুন (৩২)। তাঁর স্বামী সাব্বির আলম। পেশায় ব্যবসায়ী। এদিন সকালে ঘরে মায়ের ঝুলন্ত দেহের সামনে পাঁচ এবং ছবছরের দুই সন্তান তখনও বুঝে উঠতে পারেনি, সারাজীবনের জন্য কী হারাল তারা। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই পাড়াপড়শি-সহ পাড়ার বাসিন্দারা বাড়ির সামনে ভিড় জমায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় বাড়ির আশপাশেই ছিলেন মৃতার স্বামী। কিন্তু তার পর থেকে স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের কোনও খোঁজ মিলছে না।
[আরও পড়ুন: ডায়মন্ড হারবারে শুটআউট, ভাইফোঁটায় দিদির শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে খুন ভাই]
মৃতার পরিবারের অভিযোগ, স্বামীর লাগাতার জুয়া খেলায় বিপুল আর্থিক সংকটের মুখে পড়ে পরিবার। সেই জুয়া খেলা নিয়ে বুধবার রাতে স্বামীর সঙ্গে তুমূল ঝগড়া বাঁধে। এর পরই সাব্বির বেধড়ক মারধর করে স্ত্রীকে। তাতেই সম্ভবত অপমানিত হয়ে ভাগ্নি আত্মহত্যা করেন বলে দাবি মৃতার মামা আইনুল হক। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সকালে বাড়ির অদূরে ছিলেন ব্যবসায়ী স্বামী।
এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ইসলামপুর থানার পুলিশ। ইসলামপুর পুলিশ সুপার যশপ্রীত সিংহ বলেন, “ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে পরিবারের তরফে অভিযোগ জমা পড়েনি এখনও।”