দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: নিজেরই ওড়না দিয়ে সাত বছরের পুত্র সন্তানকে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ মায়ের বিরুদ্ধে। পরিচারিকা দেখতে পাওয়ায় তার তৎপরতায় প্রাণে বাঁচল নাবালক। ঘটনা জানাজানি হতেই ব্যালকনি থেকে ঝাঁপ মায়ের। নরেন্দ্রপুর এলাকার একটি অভিজাত আবাসনে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় গৃহবধূকে উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে ভরতি করেছে পুলিশ।
শিলিগুড়ির বাসিন্দা মুনির আহমেদ। তিনি একটি বেসরকারি ব্যাংকের আধিকারিক। তাঁর বাড়ি বোলপুর এলাকায়। অন্যদিকে তাঁর স্ত্রী পারমিতা আহমেদের বাড়ি শিলিগুড়িতে। আগে শিলিগুড়িতে কর্মরত ছিলেন মুনির আহমেদ। সেখানেই তাঁদের পরিচয়। ৭ বছর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। দুজনে ভিনধর্মের বলে কাউকে না জানিয়েই বিয়ে করেন।
[আরও পড়ুন: পুজো ও ইদে দেওয়া হবে জামাকাপড়, উপহারের জন্য কলকাতা পুরসভার বাজেটে আলাদা বরাদ্দ]
বর্তমানে কলকাতায় কর্মরত মুনির আহমেদ। এই বহুজাত আবাসনে ফ্ল্যাট কিনে বসবাস করছিলেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল। তার জেরেই এই ঘটনা কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বাড়ির পরিচারিকা অনিমা নস্কর জানান, তিনি দেখতে পেয়েই ছুটে গিয়ে ছেলেটিকে তুলে ধরেন। সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছিল সে। পারমিতাই ওড়না কেটে ছেলেকে নামায়। তার গলায় ফাঁসের দাগ রয়েছে। এরপরই দোতালার ফ্ল্যাটের ব্যলকনি থেকে ঝাঁপ দেন পারমিতা। ঘটনায় স্ত্রীর বিরুদ্ধে নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মুনির আহমেদ। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।