সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শেষকৃত্যের ব্যবস্থা করছিল শোকগ্রস্ত পরিবার। সেই সময়েই বেঁচে উঠল মরা! পরিবারের সদস্যদের কান্না থমকে গেল মাঝপথে। উলটে ভয় আর চমক লাগায় গুলিয়ে যাওয়া অবস্থা হল। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) দেওরিয়ারে এমনটাই ঘটেছে। এক মহিলা গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় তাঁকে হাসপাতলে নিয়ে যাওয়া হয়। এর পর তাঁর মৃত্যুর খবর আসে বাড়িতে। শোকগ্রস্ত পরিবারের তরফে সৎকারের আয়োজন শুরু হয়। তখনই জ্যান্ত হন ‘মড়া’। ঠিক কী ঘটেছিল?
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দেওরিয়ার বাসিন্দা মধ্যবয়স্কা ওই মহিলা দীর্ঘদিন যাবৎ কঠিন অসুখে ভুগছিলেন। ঘটনার দিন অবস্থা আরও খারাপ হওয়ায় রোগীকে অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে হাসপাতালে রওনা হন ছেলে টিঙ্কু। যদিও মাঝপথে মহিলার শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়, হাত-পা ঠান্ডা যায়। তবে এরপরেও মাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন ছেলে টিঙ্কু। যদিও খানিক বাদে হাসপাতাল থেকে পরিবারের লোকেদের ফোন করে মায়ের মৃত্যুসংবাদ দেন ছেলে টিঙ্কু।
[আরও পড়ুন: ৫০০ টাকার নোট সরিয়ে ২০ টাকা! খোদ রেলকর্মীর ‘হাতসাফাইয়ের’ ভিডিও ভাইরাল]
যা শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন বাড়ির লোকেরা। এর পর নিয়ম মেনে সৎকারের আয়োজন শুরু হয়। বাঁশ কেটে তৈরি হয় শবের খাট। আত্মীয়স্বজন, গ্রামবাসীরা জড়ো হন দাহকাজে পরিবারকে সঙ্গ দিতে। শেষকৃত্যের সবরকম প্রস্তুতি সেরে ফেলে পরিবারটি। এমন সময় ফের গ্রামের বাড়িতে ফোন আসে। ফোন করেন টিঙ্কু নিজেই। কাঁদতে কাঁদতে তিনি জানান, মা বেঁচে আছেন। তিনি নাকি হঠাৎই উঠে বসেছেন। এমনটা কী করে সম্ভব?
[আরও পড়ুন: পৃথিবীর বৃহত্তম ফুল, একটির ওজন ১০ কেজি, মানুষ খুনও করতে পারে!]
মনে করা হচ্ছে, চিকিৎসকরা নন, বরং ছেলে টিঙ্কুই মার হাত-পা ঠান্ডা দেখে, শ্বাস পড়ছে না দেখে ভেবে বসেন যে মায়ের মৃত্যু হয়েছে বুঝি। এবং বাড়িতে ফোন করে মৃত্যুসংবাদ দেন তিনি। পরে চৌরিচৌরা তহশিলের (Chourachira Tahshil) কাছে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা জানান রোগী জীবিত রয়েছেন। এমনকী খানিক বাদে রোগীকে ওই হাসপাতাল থেকে ছেড়েও দেওয়া হয়। গোটা ঘটনায় পরিবারের লোকেরা চমৎকৃত। সকলের বক্তব্য, একেই বলে পুনর্জন্ম।