সুকুমার সরকার, ঢাকা: একের পর এক বিয়ে। তার পর স্বামীদের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ এবং খোরপোষের নামে বিপুল টাকা হাতাতেন তরুণী! এমনকী, স্বামীদের ভিডি মোবাইল রেখে তাঁদের ব্ল্যাকমেল করে মোটা টাকা পকেটে ভরতেন তিনি। অবশেষে অষ্টম স্বামীর করা মামলায় জেল হল তাঁর। ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশে ঢাকার অদূরে নরসিংদী জেলায়।
ব্ল্যাকমেল ও প্রতারণার অভিযোগ এনে অষ্টম স্বামীর করা মামলায় মুন্নি খান (২৭) নামে এক তরুণীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মুন্নির সদ্য প্রাক্তন স্বামী বেলাব উপজেলার চরআমলাব গ্রামের কাজল মিয়ার ছেলে মেহেদি হাসান (৩০) নরসিংদী মডেল থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলার প্রেক্ষিতে গত শুক্রবার রাতে নরসিংদী শহরের সাটিরপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার মুন্নি রায়পুরা উপজেলার চরআড়ালিয়া এলাকার মহম্মদ দানিস মিয়ার মেয়ে।
[আরও পড়ুন: এবার আইসিসির চেয়ারম্যান পদে জয় শাহ! তুঙ্গে জল্পনা]
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মেহেদি হাসানের দ্বিতীয় স্ত্রী মুন্নি। গত ৭ জুলাই মুন্নি স্বেচ্ছায় মেহেদিকে তালাক দেন। তার আগেই মেহেদির মোবাইলে থাকা তাঁর প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের কিছু ভিডিও সেভ করে রাখেন মুন্নি। ছাড়াছাড়ির পর মুন্নি খান ওই সব ভিডিও ভাইরাল করার হুমকি দিয়ে মেহেদির কাছে পাঁচ লক্ষ টাকা দাবি করেন। গত ১২ আগস্ট রাতে নরসিংদি শহরের বাসাইল এলাকায় হাসপাতালের সামনে ৭৫ হাজার টাকা দেন মেহেদি। আবার টাকা দাবি করলে নরসিংদি মডেল থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মুন্নির বিরুদ্ধে মামলা করেন মেহেদি।
এ বিষয়ে মেহেদি বলেন, "মুন্নি আমার দ্বিতীয় স্ত্রী হলেও আমি তাঁর অষ্টম স্বামী। এর আগে সে সাতজনকে বিয়ে করে নিজেই ডিভোর্স দিয়ে কাবিনের টাকা আদায় করত। তাঁদের গোপন ভিডিও সেভ করে রাখত সে। পরে তা দিয়ে ব্ল্যাকমেল করে টাকা আদায় কর সে। আমার ক্ষেত্রেও তাই করা হয়েছে, শেষে মামলা করতে বাধ্য হয়েছি। আমি এর সঠিক বিচার চাই।" নরসিংদী সদর মডেল থানার ওসি তানভির আহমেদ বলেন, "এ ঘটনায় একটি মামলা করা হয়েছে এবং অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।"