অর্ণব দাস, বারাকপুর: সম্পত্তির কারণে মহিলাকে খুনের অভিযোগ উঠল জমি ব্যবসায়ী বা প্রমোটারের বিরুদ্ধে। শনিবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় বারাকপুরের তেলিনিপাড়া এলাকায়। মৃতদেহ আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা। যদিও খুনের বিষয় মানতে চায়নি পুলিশ। তারা জানিয়েছেন, পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়েছে। তবে দেহে আঘাতের কোনও চিহ্ন নেই।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বারাকপুর দেবপুকুর এলাকার সাথী ঘোষ ও তাঁর পরিবারের প্রচুর জমিজমা রয়েছে। আর পরিবারের লোকজনকে বুঝিয়ে সেই জমি প্লট করে বিক্রি করতে চেয়েছিলেন স্থানীয় এক জমি ব্যবসায়ী । জমিও নিয়েছিলেন তিনি। এরপর সাথী ও তাঁর পরিবারকে অন্যত্র ভাড়াবাড়ির ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে সাথীর খোঁজ মিলছিল না। তাঁর নামে মোহনপুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে পরিবারের সদস্যরা। অবশেষে শনিবার তাঁর হদিশ মেলে। বাড়ির উপরের ঘর থেকে পচাগলা অবস্থায় সাথীদেবীর মৃতদেহ উদ্ধার করে মোহনপুর থানার পুলিশ।
[আরও পড়ুন: মেদিনীপুর মেডিক্যালে ‘আত্মঘাতী’ জেলবন্দি, দুই জেলরক্ষীকে শোকজ]
জানা গিয়েছে, বাড়ির উপরতলার ঘরে থাকত সাথী। তার মানসিক সমস্যা ছিল বলে স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সাথীকে খুন করেছেন ওই জমি ব্যবসায়ী। তারপর দীর্ঘদিন ধরে দেহ ওই ঘরে লুকিয়ে রেখেছেন। তাই শরীরে পচন ধরেছে। শুধু তাই নয়, ওই জমি ব্যবসায়ী নিজের ঘরে সাথীর মা-বোন-ঠাকুমাকে দীর্ঘদিন ধরে খেতে না দিয়ে রেখে দিয়েছে বলে দাবি মৃতের আত্মীয়দের। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার সময় দেহ আটকে স্থানীয়রা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত ওই জমি ব্যবসায়ী।