সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উচ্চমানের পরিকল্পনা করে ডাকাতি, হাতসাফাই! তবে শেষরক্ষা হয়নি। এত কৌশলের পরও পুলিশের জালে ধরা পড়ল ‘প্রতারক‘ (Fraud) মহিলা। আর তাকে গ্রেপ্তারির পর জেরা করতে বসে রীতিমতো তাজ্জব পুলিশ। সীমা খান নামে মহিলাকে গ্রেপ্তার করেছে মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) ক্রাইম ব্রাঞ্চ। আর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেরিয়ে এসেছে ডাকাতির জন্য তার নিত্যনতুন ছকের কথা। তার সঙ্গে গ্রেপ্তার হয়েছে আরও আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কখনও পূজা, কখনও রিয়া। এমনই হরেক নাম নিয়ে একে একে ১৫ জন পুরুষের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিল বছর বত্রিশের সীমা খান। আবার নানা কায়দায় ‘স্বামী’দের টাকাপয়সা, গয়না লুট করে নিয়ে চম্পট দিত। একাধিকবার সীমার বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তার ভিত্তিতে পুলিশ তদন্তে নেমে নানা সূত্র হাতে পায়। সেসব সূত্র ধরেই কিনারা হয়। জালে আসে সীমা খান।
[আরও পড়ুন: প্রেমের টান, সংসার ছেড়ে টোটো চালকদের সঙ্গে ঘর বাঁধলেন দুই গৃহবধূ! চাঞ্চল্য বাগদায়]
প্রথম পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের হয় ২০২০ সালে। ভোপাল (Bhopal) পুলিশের অতিরিক্ত ডিসিপি শৈলেন্দ্র সিং চৌহান জানিয়েছেন, হিন্দু সিং এবং তার স্বামী দীনেশ নামে দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন। ওই দীনেশ পূজা ওরফে রিয়া নামে একজনের সঙ্গে তাঁর পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য। এরপর কান্তাপ্রসাদ বিয়ের প্রস্তাব দিলে ৮৫০০০ টাকা চাওয়া হয়। সেই টাকা দিতে রাজি ছিলেন কান্তাপ্রসাদ। তারপর পূজার সঙ্গে তাঁর বিয়ে (Marry) হয়। স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি ফেরেন কান্তাপ্রসাদ। ৮ দিন পর ওই দীনেশ নামের ব্যক্তি জানান, পূজার বোন অসুস্থ, তাই তাঁকে যেন বাপের বাড়ি পাঠানো হয়। দিন কয়েক পর যখন স্ত্রীকে বাড়ি ফেরানোর জন্য কান্তাপ্রসাদ যোগাযোগ করেন, তখন তাঁকে জানানো হয় যে পূজা অন্য কাউকে বিয়ে করেছে। তাতেই ক্ষুব্ধ কান্তাপ্রসাদ পুলিশে এফআইআর দায়ের করেন।
[আরও পড়ুন: রাজ্যপালের বদলে রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হবেন মুখ্যমন্ত্রী, শুরু আইনি প্রক্রিয়া]
এরপর পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে, পুলিশের চোখে ধুলো দেওয়ার জন্য নানা সময়ে ঠিকানা বদল করত পূজা ওরফে সীমা খান। একাধিক বিয়ের লক্ষ্যই ছিল ব্যক্তিদের থেকে টাকা হাতানো। সেই লক্ষ্যে একে একে ১৫ জনকে বিয়ে করেছিল সে। তবে শেষরক্ষা হল না। দুঁদে গোয়েন্দাদের পাতা ফাঁদে পা দিতেই হল। মধ্যপ্রদেশের তালাইয়া এলাকা থেকে সীমা খানকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। তার বিরুদ্ধে অন্তত এক ডজন অভিযোগ রয়েছে।