সুকুমার সরকার, ঢাকা: সংসারে নিত্যদিন অশান্তি। মারধর করতেন স্বামী। জড়িয়েছিলেন পরকীয়াতেও। এর জেরে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন স্ত্রী। তাই রাগের বশে স্বামীর যৌনাঙ্গ কেটে দেন তিনি! কিন্তু রক্তাক্ত অবস্থায় স্বামীকে দেখে নিজেই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে ছোটেন ওই মহিলা। এই ঘটনা পদ্মাপাড়ের জেলা বিক্রমপুরের (মুন্সীগঞ্জ) সিরাজদিখানে।
জানা গিয়েছে, বছর আড়াই আগে সামিয়া বেগমের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল রফিকুল সর্দারের। তাঁদের সাত মাসের একটি ছেলেও রয়েছে। দুজনের মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকত। শুক্রবার রাতে ঝামেলা চরমে ওঠে। এদিন যখন রফিকুল ঘুমাচ্ছিলেন তখন তাঁর যৌনাঙ্গ ছুরি দিয়ে কেটে দেন সামিয়া। কিন্তু রফিকুলকে গুরুতর আহত দেখে নিজেই হাসপাতালে নিয়ে যান সামিয়া। প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
[আরও পড়ুন: ‘ভারত রাজনৈতিক বন্ধু হলেও উন্নয়নের সঙ্গী চিন’, দুদেশের মন রেখেই বার্তা বাংলাদেশের!]
এই ঘটনা প্রসঙ্গে সামিয়া বলেন, আড়াই বছর আগে তাদের বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের পর থেকেই তাঁকে নির্যাতন করত রফিকুল। অন্য মেয়ের সঙ্গে পরকীয়াও ছিল। নির্যাতন সইতে না পেরে রাগের মাথায় তিনি এই কাজ করেছেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, সামিয়া বেগম তাঁর বাবার বাড়িতে থাকেন। রফিকুল পেশায় গাড়ি চালক, মাঝে মধ্যে স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে শ্বশুর বাড়িতে জেতেন। সংসারের খরচ ঠিকমতো চালাতে না পারায় দুজনের মধ্যে ঝগড়া হত।