বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: দীর্ঘদিন ধরেই দলের জনসমর্থন তলানিতে। তারপরও কংগ্রেস আছে কংগ্রেসে। পুরভোটের (Kolkata Municipal Election) টিকিট বিলি হতেই অশান্তির আগুনে পুড়ছে জাতীয় দলটি। রবিবার তালা দিয়ে বিক্ষোভের পর সোমবার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টা মহিলা কংগ্রেসের এক নেত্রীর। যদিও সেইসময় বিধানভবনে হাজির কর্মীরা মহিলানেত্রীকে গায়ে আগুন দেওয়া থেকে নিরস্ত করেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিধানভবনে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে হাতাহাতি পর্যন্ত হয়।
১৯ ডিসেম্বর কলকাতায় পুরভোট (Kolkata Civic Polls)। গত বৃহস্পতিবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে তা জানায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মনোনয়ন পেশ করা যাবে। ২ তারিখ স্ক্রুটিনি। ৪ ডিসেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। দু’দফায় প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে কংগ্রেস (Congress)। প্রথমদফা প্রকাশের পরই বন্দর এলাকার এক নেতার বিরুদ্ধে বিধানভবনের গেটে তালা দিয়ে বিক্ষোভ দেখায় কিছু নেতা-কর্মী। এখানেই শেষ নয়। প্রার্থীদের দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশের পর আরও বড় ঘটনা ঘটল বিধানভবনে।
[আরও পড়ুন: রাতের অন্ধকারে বিরিয়ানি লুট! দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্যে হতবাক দমদমবাসী]
সোমবার সন্ধ্যায় গায়ে কেরোসিন ঢেলে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন গুনজন বিবি নামে মহিলা কংগ্রেসের সম্পাদক। জানা গিয়েছে, রবিবার কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কলকাতা পুরভোটের জন্য যে তালিকা প্রকাশ করা হয় সেখানে ৭৮ নম্বর ওয়ার্ডে মহম্মদ মহেশকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। প্রতিবাদে সোবার আকিব গুলজার নামে কংগ্রেস নেতার স্ত্রী গুনজন গায়ে কোরোসিন ঢেলে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন।
যদিও গায়ে আগুন দেওয়ার আগেই বিধানভবনের কর্মীরা তাঁকে ধরে ফেলেন। অনেক বুঝিয়ে নিরস্ত করা যায় কংগ্রেস নেত্রীকে। এরপরেই দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গন্ডগোল শুরু হয়। প্রদেশ দপ্তরের মধ্যেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন দু’পক্ষের কর্মীরা। খবর যায় এন্টালি থানায়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। দু’পক্ষকে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।