অতুলচন্দ্র নাগ, ডোমকল: জুয়ায় হার। বিপুল অঙ্কের আর্থিক ক্ষতি। প্রতিবেশী মহিলার কাছ থেকে গয়না না পাওয়ায় ধারালো অস্ত্রের কোপ। বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর জখম হন শ্বশুর ও শাশুড়ি। শ্বশুর ভর্তি হাসপাতালে। মৃত্যু হয়েছে শাশুড়ির। মুর্শিদাবাদের রানিনগরের মালিপাড়ার ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য।
আক্রান্ত স্কুল শিক্ষিকার নাম রেখা আহমেদ। আক্রান্ত স্কুল শিক্ষিকা মালিপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত। তাঁর স্বামী খালিদ আহমেদও একটি প্রাথমিক স্কুলে চাকরিরত। খালিদ আহমেদের বন্ধু ও তাঁদের প্রতিবেশী সেলিম শেখ। এই সেলিমই সোনার গয়নার দাবিতে চড়াও হয় রেখার উপর। অভিযোগ, রেখা সোনা দিতে রাজি না হলে কোপ মারে সেলিম। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত সেলিম ও রেখা আহমেদের স্বামী খালিদ আহমেদ একই স্কুলে কর্মরত। বুধবার সেলিম স্কুল থেকে তাড়াতাড়ি বেরয়।
[আরও পড়ুন:‘মনে হয়েছিল সব শেষ’, জীবনযুদ্ধে জিতে রুটির দোকান দিয়ে স্বনির্ভর অ্যাসিড আক্রান্ত মমতা]
ফেরার পথে আক্রান্ত শিক্ষিকার বাড়িতে যায়। সেই সময় আহমেদ পরিবারে ছিলেন রেখার শ্বশুর, শাশুড়ি ও এক পরিচারিকা। বাড়িতে পৌঁছানোর পর রেখার কাছে সেলিম সোনা চায় বলে অভিযোগ। তা দিতে নারাজ হলে বচসা বাঁধে। এর পরই ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওই শিক্ষিকাকে কোপ মারতে থাকে অভিযুক্ত। রেখাকে তার শ্বশুর, শাশুড়ি বাঁচাতে যান। তাঁদেরকেও কোপ মারা হয়। বাদ যাননি পরিচারিকাও। আঘাতের ফলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় রেখার শাশুড়ি রিজিয়া আহমেদের। গুরুতর আহত হন ওই শিক্ষিকার শ্বশুর ও পরিচারিকা। তাঁরা মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল হাসপাতালে ভর্তি। এই ঘটনার পর থেকে পলাতক সেলিম।