সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: আর জি কর হাসপাতালের নৃশংস ঘটনায় এখনও গনগনে আন্দোলনের আঁচ। দ্রুত সুবিচারের দাবিতে রোজই কোথাও না কোথাও জমায়েত, মিছিল, প্রতিবাদ সভা হচ্ছে। আর এসবের মাঝে ফের এক ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল নদিয়ার ভীমপুর। অভিযোগ, গৃহবধূর স্বামীর অনুপস্থিতিতে বাড়িতে সিঁদ কেটে ঘরে ঢুকে কয়েকজন তাঁকে ধর্ষণ করে। এর পর ইটের ঘায়ে তাঁকে জখম করে পালিয়ে যায়। কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় নির্যাতিতার। ঘটনার খবর পেয়ে ভীমপুর থানার পুলিশ এক ব্যক্তিকে আটক করেছে। দ্রুত দোষীদের কঠোরতম শাস্তির দাবিতে সরব এলাকাবাসী।
ভীমপুর থানার অন্তর্গত ডিগ্রি পূর্বপাড়া এলাকায় বৃহস্পতিবার সকালে ঘটেছে ঘটনাটি। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বাড়িতে ছিলেন না ওই গৃহবধূর স্বামী। রাতেই একাই ঘুমিয়েছিলেন তিনি। গভীর রাতে জনা কয়েক ব্যক্তি ওই গৃহবধূর স্বামী বাইরে থাকার সুবিধা নিয়ে তাঁর বাড়িতে সিঁদ কেটে ওই গৃহবধূর ঘরে ঢোকে। এর পর তাঁকে ধর্ষণ করা হয় এবং মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। গৃহবধূর চিৎকারে তাঁর শাশুড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছন। এলাকাবাসীর সহায়তায় বধূকে উদ্ধার করে দ্রুত কৃষ্ণনগরের শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করার কথা বলেন চিকিৎসকরা।
[আরও পড়ুন: ‘পুলিশ পদক ফেরত নেওয়া হোক’, বিনীত গোয়েলকে নিয়ে রাষ্ট্রপতি-শাহকে চিঠি শুভেন্দুর]
কিন্তু কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই নির্যাতিতার মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। প্রতিবেশী এক যুবক এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বলে সংশয় পরিবার ও প্রতিবেশীদের। আশুতোষ বিশ্বাস নামে সন্দেহভাজন যুবকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে ভীমপুর থানার পুলিশ। মৃতদেহ শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। এনিয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে নারাজ পুলিশ। তবে দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তারিতে পুলিশ সক্রিয় বলে দাবি। আর জি কর আবহে এই ঘটনায় নতুন করে শোরগোল ফেলেছে নদিয়ায়।