ধীমান রায়, কাটোয়া: বাইকে স্ত্রীকে নিয়ে আত্মীয়ের বাড়ি যাচ্ছিলেন এক ব্যক্তি। কিছুটা যাওয়ার পর হঠাৎ বাইক চালক লক্ষ্য করেন পিছনে তাঁর স্ত্রী নেই। সঙ্গে সঙ্গে বাইক ঘুরিয়ে পিছনে ছুটে যান তিনি। দেখেন, রাস্তার উপর রক্তাক্তবস্থায় পড়ে রয়েছেন স্ত্রী। বাইকের পিছনে বসে স্বামীর সঙ্গে যাওয়ার সময় স্পিডব্রেকার পার হওয়ার সময় ঝাঁকুনিতে বাইক থেকে পড়ে মৃত্যু হয় মহিলার। মঙ্গলবার দুর্ঘটনাটি ঘটেছে কাটোয়া বোলপুর রোডে কেতুগ্রামের বারান্দা গ্রামের কাছে।
পুলিশ জানায় মৃতার নাম গীতা প্রামানিক (৪০)। তাঁর বাড়ি কাটোয়ার আমূল গ্রামে। দেহটি উদ্ধার করে এদিন ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আমূল গ্রামের বাসিন্দা ধানু প্রামানিক একটি সেলুন চালান। আত্মীয়ের মৃত্যুর খবর শুনে ধানু তাঁর স্ত্রী গীতাদেবীকে নিয়ে বাইকে চেপে কেতুগ্রামের পুরুল গ্রাম যাচ্ছিলেন। কাটোয়া বোলপুর রোড ধরে বাইক চালিয়ে যাওয়ার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। জানা যায়, ধানুবাবুর মাথায় হেলমেট ছিল। তবে তাঁর স্ত্রীর মাথা ছিল খালি। রাস্তার উপর একটি স্পিড ব্রেকারের পাশে পড়ে ছিলেন গীতাদেবী। স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহতকে উদ্ধার করে কাটোয়া হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসকরা জানান, মাথায় আঘাতের জেরেই মহিলার মৃত্যু হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘বাংলার গর্ব’ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়! ব্যানারে ছয়লাপ বেহালা]
এই দুর্ঘটনার পর স্থানীয়দের একাংশ রাস্তায় থাকা অসংখ্য স্পিডব্রেকার প্রশ্ন তুলেছেন। অনেকসময় ওই স্পিডব্রেকার বুঝতে না পেরে দুর্ঘটনার কবলে পড়ছেন বাইক চালকরা। অন্যদিকে বাইকের পিছনে বসে থাকা যাত্রীদেরও হেলমেট পরার বিষয়ে বারবার সতর্ক করছে পুলিশ। ওই মহিলাও হেলমেট পড়ে থাকলে হয়তো তাঁর প্রাণহানি হত না। এমনই মনে করছেন স্থানীয়দের একাংশ।