স্টাফ রিপোর্টার: পুজো শেষ। কিন্তু ডেঙ্গুর (Dengue) সংক্রমণ যেমন উর্ধমুখী ছিল, তেমনই রয়েছে। রাজ্যে আরও একজনের মৃত্যু হল মশাবাহিত রোগে। তবে মৃত মহিলা এরাজ্যের বাসিন্দা নন।
বৃহস্পতিবার সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে এক মহিলার ডেঙ্গু সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ওই বেসরকারি হাসপাতাল সূত্রে খবর, বুধবার অর্চনা দেবী (২৯) নামের এক মহিলাকে সেখানে ভরতি করা হয়। তুমুল জ্বর ছিল তাঁর। রক্ত পরীক্ষায় ডেঙ্গু পজিটিভ ধরা পড়ে। প্লেটলেটও (Platelet Count) কম ছিল। বৃহস্পতিবার সকাল নটা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। অর্চনাদেবীর ঠিকানা হিসাবে উত্তরপ্রদেশের চান্দুলি উল্লেখ্য করা হয়েছে। সম্ভবত তিনি কলকাতা বা সংলগ্ন এলাকায় কোথাও ঘুরতে এসেছিলেন। এই নিয়ে রাজ্যে অন্তত ২৯ জনের ডেঙ্গু সংক্রমণে মৃত্যু হল।
[আরও পড়ুন: গার্ডেনরিচ কাণ্ড: আমিরের ১৫০০ অ্যাকাউন্টের হদিশ, আরও ২০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ]
এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৮৪ জন ডেঙ্গু পজিটিভ হয়েছেন। রাজ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডা সিদ্ধার্থ নিয়োগীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে ৪ হাজার ৬৭৮ জন নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ৭০১ জন হাসপাতালে ভরতি। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ৬০৭ নতুন করে ডেঙ্গু পজিটিভ। সিদ্ধার্থবাবুর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, জলপাইগুড়ি ও হাওড়া জেলায় সংক্রমণ কিছুটা কমলেও বাঁকুড়ায় সংক্রমণ বেড়েছে। জেলায় জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ দল পাঠানো হয়েছে।
[আরও পড়ুন: উৎসবে বেপরোয়া নাগরিক! পাঁচদিনে প্রায় ৩৫ হাজার ট্রাফিক মামলা ঠুকল কলকাতা পুলিশ]
উল্লেখ্য, পুজোর আগেই রাজ্যে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ২০ হাজার অতিক্রম করে। আর সেজন্য মেডিক্যাল কলেজ থেকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে জরুরি ভিত্তিতে পরিষেবা চালু রাখতে কড়া নির্দেশ জারি করে স্বাস্থ্যভবন। স্পষ্ট বলা হয়, এলাকা ছেড়ে কোনও ডাক্তার বা স্বাস্থ্যকর্মী বাইরে যেতে পারবেন না। ফোন করলেই কর্মক্ষেত্রে আসতে হবে। সেই নির্দেশ কতটা মানা হয়েছে এবার তা খতিয়ে দেখবেন স্বাস্থ্য কর্তারা। শোনা যাচ্ছে, পুজোর সেই নির্দেশিকা আগামী ৩ মাসও বজায় থাকবে।