দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: শুক্রবার ভরদুপুরে বাড়ির ভিতরে খুন গৃহবধূ। গলার নলি কাটা অবস্থায় উদ্ধার হয় বধূর দেহ। শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এদিন দুপুর থেকেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় শ্রীরামপুরের প্রভাসনগর পূর্বপাড়া এলাকায়।
জানা গিয়েছে, মৃত ওই গৃহবধূর নাম রেণু সাউ(৪০)। তাঁর স্বামী রমেশ সাউ আশেপাশের বিভিন্ন এলাকায় ভ্যানে করে কাপড় ফেরি করে সংসার চালান। দু’জনের ১০ বছরের একটি ছেলে রয়েছে। স্থানীয় স্কুলেই পড়ে সে। এদিন রমেশবাবু ছেলেকে স্কুল থেকে আনতে গিয়েছিলেন। দুপুর সোয়া তিনটে নাগাদ ছেলেকে নিয়ে বাড়ি ফিরে দেখেন, স্ত্রী রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরের মধ্যে পড়ে রয়েছেন। তাঁর গলায় ও হাতে গভীর ক্ষত। চারদিক রক্তে ভেসে যাচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবেশীদের ডেকে একটি টোটোতে করে স্ত্রীকে শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে নিয়ে যান রমেশবাবু। সেখানে চিকিৎসকরা রেণু সাউকে মৃত ঘোষণা করেন।
[আরও পড়ুন: ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ ছবির পরিচালকের অফিসে হামলা! ম্যানেজারকে আক্রমণ দুষ্কৃতীর]
দুপুরের এই ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকার মানুষের মনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পাশাপাশি বাড়ি হলেও এরকম একটা নৃশংস ঘটনার আগে তাঁরা কোনও রকম চিৎকার-চেঁচামেচি পর্যন্ত শুনতে পাননি। যখন জানতে পারেন, তখন গিয়ে দেখেন গৃহবধূর গলার নলি কাটা। ঘরের ভিতরের আলমারি খোলা। আলমারির সমস্ত জিনিসপত্র নানা জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছিল। সেক্ষেত্রে লুটপাট করতে ঘরের ভিতরে কেউ ঢুকে থাকতে পারে বলে সন্দেহ।
অনুমান, লুটপাটে বাধা পেয়ে হয়তো গৃহবধূকে খুন করা হয়েছে। তবে গৃহবধূর গলার নলি কাটা থাকলেও ঘরের ভিতরে কোনও ধারাল অস্ত্রের সন্ধান পাওয়া যায়নি। খবর পেয়ে, ঘটনাস্থলে পৌঁছান ডিসিপি অরবিন্দ মেনন আনন্দ-সহ শ্রীরামপুর থানার পুলিশ আধিকারিকরা। পুলিশ পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করেছে। ডিসিপি অরবিন্দ মেনন আনন্দ জানান, ঘাড়ে ও গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আশেপাশের মানুষজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। খুব শীঘ্রই ঘটনার কিনারা হবে বলে জানান তিনি।