shono
Advertisement

অমরনাথ বিপর্যয়: ‘বর্ষা আর নেই’, মেঘ ভাঙা বৃষ্টির পর ফোন সহযাত্রীদের, শোকে পাথর পরিবার

তরুণী মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেনি প্রশাসন।
Posted: 08:12 PM Jul 09, 2022Updated: 08:13 PM Jul 09, 2022

দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: অমরনাথে মেঘ ভাঙা (Amarnath Cloud Burst) বৃষ্টিতে প্রাণ গেল বারুইপুরের এক তরুণীর। তাঁর সঙ্গীদের তরফে এই খবর মিলেছে। যদিও শনিবার রাত পর্যন্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনা প্রশাসনের তরফে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি। পরিবারের তরফে কাশ্মীরের উদ্ধারকারী বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।

Advertisement

অমরনাথে (Amarnath) মেঘ ভাঙা বৃষ্টির পর থেকে নিখোঁজ অন্তত ৪০ তীর্থযাত্রী। যাদের মধ্যে রয়েছেন বাংলারও কয়েকজন। উদ্বিগ্ন হয়ে তাঁদের জন্য অপেক্ষা করছে পরিবারের সদস্যরা। এর মাঝেই আশা-নিরাশার দোলাচলে বারুইপুরের পরিবার।

[আরও পড়ুন: পরপর দু’দিন রাজ্যে করোনা আক্রান্ত ৩ হাজার ছুঁইছুঁই, চিন্তা বাড়াচ্ছে ৯ জেলা]

এবার অমরনাথ যাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন বারুইপুর পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চক্রবর্তী পাড়া ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের পুরাতন বিশালক্ষী তলার তিনটি পরিবারের সাতজন। গত ১ জুলাই বর্ষা মহুরী, তাঁর মা নিবেদিতা এবং মামা সুব্রত চৌধুরী ছিলেন সেই দলে। ছিলেন সস্ত্রীক উজ্বল মিত্র এবং তাঁদের মেয়ে। ছিলেন উদয় ঘোষও। বর্ষা ভূগোল নিয়ে স্নাতকোত্তর পাশ করেছেন সম্প্রতি। পিএইচডি করছিলেন। বরাবরই ঘুরতে ভালবাসতেন তিনি। সেই অ্যাডভেঞ্চারের টানেই মা এবং মামাকে নিয়ে অমরনাথ রওনা দিয়েছিলেন। সেখানেই বিপত্তি।

জানা গিয়েছে, ১ জুলাই রওনা দিয়েছিলেন বারুইপুরের ৭ জন। ৫ জুলাই পহেলগাঁও পৌঁছায়। ১৬ জুলাই ফেরার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই মেঘ ভাঙা বৃষ্টি ভাসিয়ে নিয়ে গেল বহু মানুষকে। বর্ষার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, “শুক্রবার বর্ষাদের সঙ্গী উদয়বাবুর সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে। তাঁর থেকেই জেনেছি বর্ষা আর হয়তো বেঁচে নেই। মাকে বাঁচাতে গিয়ে ভেসে গিয়েছে। সেখানে প্রশাসনিক সাহায্যও তেমন মিলছে না বলে জানিয়েছেন উদয়বাবু।” তবে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের কাছে শনিবার রাত পর্যন্ত বর্ষার মৃত্যুর কোনও খবর নেই।

[আরও পড়ুন: ক্যানিংয়ে নিহত ৩ নেতা-কর্মীর পরিবারের পাশে TMC প্রতিনিধিরা, ঘোষিত আর্থিক সাহায্যও]

৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিকাশ দত্ত বলেন,”আমরা কয়েকটি সূত্র মারফত ওই পরিবারগুলির বিষয় জানতে পেরেছি। রাজ্য প্রশাসনের মাধ্যমে খোঁজখবর করা হচ্ছে। বারুইপুর পশ্চিমের বিধায়ক তথা বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তিনিও ওই পরিবার গুলির বিষয়ে খোঁজখবর করছেন। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করে তাদের ফিরিয়ে নিয়ে আসার উদ্যোগ নিয়েছেন।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup ছাঁদনাতলা toolbarvideo শোনো toolbarshorts রোববার