শংকর রায়,রায়গঞ্জ: ন’বছরের নাতির সামনেই রাতে শোওয়ার ঘর থেকে ঠাকুরমাকে টেনে হিঁচড়ে উঠোনে বের করে বাঁশপেটা করে কোদালের ঘায়ে খুন করা হল। বাধা দিতে গিয়ে লোহার রডের আঘাতে মাথা ফেটে মারাত্মক জখম হলেন মৃতার স্বামী।
রবিবার রাতে উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের অনন্তপুর পঞ্চায়েতের মধ্য গৌরীপুর গ্রামের ঘটনা। মৃতা কমলা রায় (৫০)। এদিন দেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ। সোমবার খুনের অভিযোগে মৃতার ভাশুর ও তাঁর ছেলেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশের জালে সুবোধ রায় এবং পাপ্পু রায়ও। জখম সুকুমার রায় রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
[আরও পড়ুন: ‘গিল মেরেছে আটটা ছক্কা, কোহলি মাত্র একটা’, দুই তারকার ইনিংসের তুলনায় প্রাক্তন অজি তারকা]
ঘটনার সূত্রপাত, বাড়ির চত্বরের গাছে ঝুলে পড়া পাকা লিচু ঘিরে। লালচে লিচু যাতে পাখি খেয়ে নষ্ট করতে না পারে, সেই কারণে রাতে টিন বাজিয়ে গাছ থেকে পাখি তাড়াচ্ছিলেন সুকুমার রায়। আর সেই টিনের বাজনার আওয়াজে দুই ভাইয়ে বচসায় শুরু হয়। ক্ষোভ উগরে দেন দাদা সুবোধ রায় ও বউদি। এরপর দাদা সুবোধ ও তাঁর আঠারো বছরের ছেলে পাপ্পু টিউবওয়েলের হাতল, কোদাল এবং বাঁশ নিয়ে মারতে আসেন ভাই ও ভাইয়ের স্ত্রীকে। এলোপাথাড়ি মারে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান কমলাদেবী। জখম হন নিহতের স্বামী।
খবর পেয়ে কালিয়াগঞ্জের বাড়িতে পৌঁছান মৃতার বাবার বাড়ির পরিজনেরা। মৃতার আত্মীয় বিমল বর্মনের তরফে তিনজনের বিরুদ্ধে কালিয়াগঞ্জ থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়। মৃতার আত্মীয় বিমল বর্মনের অভিযোগ, “সামান্য লিচু সামলানো নিয়ে বচসায় প্রাণ দিতে হল এক বধূকে। আর তাঁর স্বামী মৃত্যুর সঙ্গে হাসপাতালে লড়াই করছে। খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।” রায়গঞ্জ পুলিশ সুপার সানা আখতার বলেন, “ঘটনায় দু’জনকে গ্রেপ্তার করে তদন্ত শুরু হয়েছে।”