শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: ধারণা ছিল বিয়ে হলেই কোল আলো করে আসবে সন্তান! তা না হওয়ায় বিয়ের তিনমাসের মাথায় অবসাদে আত্মঘাতী গৃহবধূ। জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের পানিকৌরির ঘটনায় চাঞ্চল্য।
মঙ্গলবার রাতে শোওয়ার ঘর থেকে বধূর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। রাজগঞ্জ থানার আইসি পঙ্কজ সরকার জানান, ঘটনায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। তবে বধূর বাবা বুধন রায় স্বীকার করেছেন বিয়ের আগে থেকেই মেয়ের মানসিক সমস্যা ছিল। চিকিৎসা চলছিল। বিয়ের পর সমস্যা আরও বেড়ে যায়।
[আরও পড়ুন: সত্তরেও পেতে পারেন তুমুল যৌন আনন্দ, কেবল এই কথাগুলি মেনে চললেই কেল্লাফতে]
জানা গিয়েছে, মাসতিনেক আগে পানিকৌরির জর্জ মিত্রের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল মন্থনীর ইলা রায়ের। প্রেম করেই বিয়ে করেছিলেন তিনি। বাড়ির সামনে গ্যারেজ রয়েছে জর্জের। স্বচ্ছল পরিবার। ইলার বাবা বুধন রায় জানান, সুখেই ঘর করছিল মেয়ে। হঠাৎই মা হওয়ার চরম ইচ্ছা জাগে তাঁর। বিয়ের তিনমাসের মধ্যে তেমন কোনও সম্ভাবনা দেখা না দেওয়ায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন বধূ। দুই পরিবারের সকলেই বোঝান তাঁকে। এমন অঘটন ঘটাবে তা ভাবতেই পারছেন না তাঁরা।
বুধবার ময়নাতদন্তের পর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেয় পুলিশ। রাজগঞ্জ থানার আইসি পঙ্কজ সরকার জানান, দুই পরিবারের লোকজনকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তাঁরা। অভিযোগ জানাননি কেউই। মেয়ের বাবা জানিয়েছেন, বিয়ে হলেই মা হওয়া যায়, এমন ধারণা তৈরি হয়েছিল মেয়ের। সকলে মিলে বোঝাচ্ছিলেন। সুসংবাদের অপেক্ষা করতে বলেছিলেন। অপেক্ষা করেননি ইলা। এমন ঘটনায় হতবাক সকলেই।