জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: রাস্তার পাশে বসে আছেন ভবঘুরেরা৷ খাবার পরিবেশনের সঙ্গেই গ্লাসে জলও দিচ্ছেন কয়েকজন মহিলা। তবে হ্যাঁ, স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিস্কার করার পরই মিলছে খাওয়ার অনুমতি। লকডাউনে এই ছবি দেখা যাচ্ছে চাঁপাবেড়িয়ার জগতমাতা মন্দির এলাকায়। ভবঘুরেদের পেট ভরিয়েই তৃপ্তির হাসি হাসছেন বধূরা।

করোনা (Corona Virus) সংক্রমণ রুখতে দেশজুড়ে জারি লকডাউন। যার ফলে প্রবল সমস্যায় দরিদ্র ও ভবঘুরেরা। সরকারের তরফে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হলেও খাদ্য সংকটে ভুগছেন অনেকেই। অনেকক্ষেত্রেই বহু সহৃদয় মানুষ ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সরকারের মতোই দরিদ্রদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। তাঁদের হাতে তুলে দিচ্ছে খাদ্যসামগ্রী। সেই সব মানুষদের মতোই এবার ভবঘুরেদের পাশে দাঁড়ালেন বনগাঁর একদল মহিলা। মন্দিরে দানের ডাল-চাল ও নিজেদের সামর্থ্য মতো অর্থ দিয়ে প্রতিদিন ১০০ জনের রান্না করছেন তাঁরা। এরপর সেই রান্না করা খাবার নিয়ে বেড়িয়ে পড়ছেন। ঘুরে ঘুরে খাওয়াচ্ছেন ভবঘুরেদের।
[আরও পড়ুন: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোয়ারেন্টাইন নয়, প্রশাসনিক নির্দেশে পুরুলিয়ায় স্থানান্তরিত ১১টি সেন্টার]
মঙ্গলবার বনগাঁ আদালত চত্বর, বাটা মোড়, বনগাঁ স্টেশন এলাকা ও পেট্রাপোল থানা এলাকায় ঘুরে ঘুরে তাঁরা ভবঘুরেদের খাওয়ান। বনগাঁ স্টেশন এলাকায় মহিলাদের সহযোগিতা করেন জিআরপি থানার আধিকারিক দীপক কুমার পাইক।
উদ্যোক্তা বাপি গুহ, মামনি গুহরা বলেন, ”আমরা সাধ্যমত খাওয়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাব। দৈনিক ১০০ জনকে খাওয়ানোর ইচ্ছে রয়েছে। একেক দিন একেক পদ হবে। আজ ডিমের ঝোল আর ভাত হয়েছে। আগামিকাল মাছ খাওয়ানোর ইচ্ছা আছে।”
অন্য এক গৃহবধুর কথায়, “আমরা দৈনিক বাড়িতে যেভাবে খাই ওদেরও খাওয়ানোর ইচ্ছা হয়েছিল, তাই এই ছোট্ট প্রয়াস।” মহিলাদের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বনগাঁর সাধারণ মানুষ ও প্রশাসনিক কর্তারা।
[আরও পড়ুন: প্রেমিকের সঙ্গে ঘরছাড়ার শাস্তি! চুল কেটে, মুখে কালি মাখিয়ে বধূকে গ্রামছাড়া করল প্রতিবেশীরা]
The post ৭ দিনে সাত পদ, লকডাউনে ভবঘুরেদের মুখে অন্ন তুলে দিতে অভিনব উদ্যোগ বনগাঁর বধূদের appeared first on Sangbad Pratidin.