সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পৃথিবীর প্রাচীণতম যুদ্ধ দাম্পত্যকলহ। এক অর্থে দুই বিশ্বযুদ্ধকেও তা হার মানায়! তাই বলে খুন! জন্মদিন পালন করতে দুবাই যেতে চেয়েছিলেন স্ত্রী। সেই আবদার রাখেননি স্বামী। এমনকী বিবাহবার্ষিকীতেও কোনও দামি উপহার পাননি স্বামীর থেকে। এই রাগে ফুঁসে ঘুষি মেরে স্বামীকেই খুন করে ফেললেন স্ত্রী! শুক্রবার মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে পুণেতে। দুবাইয়ের বদলে ওই মহিলার আপাতত জায়গা হয়েছে শ্রীঘরে।
জানা গিয়েছে, পুণের ওয়ানাবদি এলাকার এক অভিজাত আবাসনে থাকতেন ওই দম্পতি। অভিযুক্ত মহিলার নাম রেণুকা (৩৮)। এবং মৃত ব্যক্তির নাম নিখিল খন্না (৩৬)। নির্মাণ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন নিখিল। বছর ছয়েক আগে প্রেম করেই বিয়ে করেন দুজনে। দামি উপহার, বিদেশ বিভূঁইয়ে ঘুরতে যাওয়া নিয়ে তাঁদের মধ্যে ঝামেলার সূত্রপাত। সেই ঝামেলা এমন পর্যায় পৌঁছায় যে স্ত্রীর মারের চোটে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন নিখিল।
[আরও পড়ুন: লজ্জায় মুখ ঢাকছে বাণিজ্য নগরী! মুম্বইয়ে দশ বছরে ধর্ষণ বেড়েছে ১৩০ শতাংশ]
ওয়ানাবদি থানার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “শুক্রবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে জন্মদিন পালন করার জন্য দুবাই যেতে চেয়েছিলেন রেণুকা। কিন্তু নিখিল তাঁকে নিয়ে যাননি। বিবাহবার্ষিকীতে কোনও দামি উপহারও দেননি। দিল্লিতে আত্মীয়দের সঙ্গে জন্মদিন পালন করতে চাইলেও তাতে বিশেষ আগ্রহ দেখাননি নিখিল। এই নিয়েই গোল বাঁধে দুজনের মধ্যে।”
এর পরই দুজনের মধ্যে ঝগড়া এমন পর্যায় পৌঁছায় যে স্বামীর নাকে সজোরে ঘুষি মেরে দেন রেণুকা। যার জেরে কয়েকটি দাঁত ভেঙে যায় নিখিলের এবং নাক দিয়ে গল গল করে রক্ত বেরতে শুরু করে। এরপরই অচৈতন্য হয়ে যান নিখিল। খানিক বাদেই মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে রেণুকার বিরুদ্ধে। তদন্তের জন্য তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।