সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রবীণ কংগ্রেস নেতার দেওয়া ২ লক্ষ টাকা অর্থ সাহায্য ফিরিয়ে দিলেন এক মহিলা। এমনকী টাকা ছুঁড়ে মারলেন নেতার গাড়িতে। এমন ঘটনার সাক্ষী হল কর্ণাটকের (Karanataka) কেরুর। গত ৬ জুলাই একটি যৌন হেনস্তার অভিযোগকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে অশান্তি ছড়ায় কেরুরে। গুরুতর আহত হন ৪ ব্যক্তি। যাঁদের মধ্যে দু’জন একই পরিবারের। শুক্রবার এলাকা পরিদর্শনে যান কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া (Siddaramaiah)। তিনি আহতদের প্রত্যেককে পঞ্চাশ হাজার টাকা করে দিতে যান। সেই টাকা গ্রহণ করলেন না আহতদের পরিবারের সদস্যা মহিলা। টাকার বান্ডিল ছুঁড়ে মারলেন নেতার গাড়ি দিকে। এইসঙ্গে মহিলা জানান, টাকা লাগবে না, ন্যায়বিচার চাই।
কর্ণাটকের বাদামি তালুকের মধ্যে পরে কেরুর এলাকাটি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি যৌন হেনস্তার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ৬ জুলাই কেরুরে হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে অশান্তি ছড়ায়। এক হিন্দুত্ববাদী নেতা ইয়াসিন নামের এক ব্যক্তির বিরদ্ধে অভিযোগ আনেন, সে হিন্দু সম্প্রদায়ের দুই নাবালিকাকে উত্যক্ত করেছে। ওই নেতা ও তাঁর দলবল ইয়াসিনের উপর চড়াও হয়। এরপর দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে অশান্তি ছড়ায়। উভয় সম্প্রদায়ের এলাকায় ভাঙচুর চলে। গাড়িতে আগুন লাগানোর ঘটনাও ঘটে। ঘটনায় অভিযুক্ত দু’পক্ষের ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অন্যদিকে অশান্তিতে আহত হন চারজন।
[আরও পড়ুন: গুজরাট দাঙ্গার পর মোদি সরকার ফেলতে ৩০ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন তিস্তা! দাবি তদন্তকারীদের]
স্থানীয় হাসপাতালে তাঁদের চিকিৎসা চলছে। শুক্রবার সেখানে আহতদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া। এবং মাথা পিছু পঞ্চাশ হাজার টাকা করে মোট ২ লক্ষ টাকা অর্থ সাহায্য দেন। সেই টাকাই ফিরিয়ে দেন আহতদের পরিবারের সদস্যা। কংগ্রেস নেতার উদ্দেশ্যে ওই মহিলা বলেন, “টাকা চাই না। ন্যায়বিচার চাই। যারা অন্যায় করেছে তারা যেন শাস্তি পায়।” টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। পরে এক স্থানীয় কংগ্রেস নেতা জানান, এই অর্থ সাহায্য সরকারের তরফে করা হয়নি। কংগ্রেস নেতা ব্যক্তিগতভাবে পাশে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন।
[আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে বিরোধী শিবিরে ভাঙন ধরাচ্ছে বিজেপি! উঠছে অনৈতিকতার অভিযোগ]
এই বিষয়ে টুইট করেন সিদ্দারামাইয়াও। তাঁর কথায়, “দাঙ্গায় যাঁরা আহত হয়েছেন, আমি তাঁদের ব্যক্তিগতভাবে সাহায্য করতে গিয়েছিলাম। উত্তেজিত পরিবারেরা সদস্যা টাকা নয়, ন্যায়বিচার চেয়েছেন। আমি মানুষগুলোর মানসিক অবস্থা বুঝতে পারছি। এখন কর্ণাটকের বিজেপি সরকারের কর্তব্য, দ্রুত নিরেপেক্ষ তদন্ত করা ও ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচার দেওয়া।”