অভিরূপ দাস: জরায়ু সেলাই করতে গিয়ে তার সঙ্গে স্টিচ হয়ে গিয়েছে ক্ষুদ্রান্ত্র! চূড়ান্ত গাফিলতির অভিযোগ বারুইপুর হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীদের বিরুদ্ধে। প্রসবের পর থেকেই গুরুতর অসুস্থ দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কালিকাপুরের বাসিন্দা গৌরী মণ্ডল (২২)। অভিযোগ, অস্ত্রোপচারের পর সেলাই করার সময় অজ্ঞতার কারণে তাঁর ক্ষুদ্রান্ত্রে সুচ চালিয়ে দিয়েছেন হাসপাতালেরই স্বাস্থ্যকর্মীরা। তারপর থেকে কিছু খেতে পারছেন না গৌরী। বারবার বমি হচ্ছে তাঁর। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন রোগীর মা মঙ্গলাদেবী।
জুন মাসের ১৯ তারিখ বারুইপুর হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন গৌরী মণ্ডল নামে ওই প্রসূতি। পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, অস্ত্রোপচারের (সিজারিয়ান ডেলিভারি) মাধ্যমে গৌরী কন্যা সন্তান প্রসব করেন। সন্তান প্রসব করার পর তাঁর রক্তক্ষরণ হতে থাকে। অভিযোগ, তড়িঘড়ি গৌরী মণ্ডলকে অন্যত্র রেফার করে দেয় বারুইপুর হাসপাতাল। এমন কাণ্ড যে ঘটানো হয়েছে সে সময় হাসপাতালের পক্ষ থেকে বলা হয়নি।
[আরও পড়ুন: তীর্থে গিয়ে হারিয়েছিলেন বাড়ির পথ, ৪ বছর পর মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলাকে ফেরাল HAM রেডিও]
অসুস্থ মেয়েকে ভবানীপুরের চিত্তরঞ্জন সেবাসদনে ভরতি করেন মঙ্গলাদেবী। সেখানেই চিকিৎসকরা জানান ক্ষত সারতে মাস দু’য়েক সময় লাগবে। মঙ্গলাদেবী বলেন, “মেয়ে নিজেই আমায় বলেছে সিজার করার সময় ডাক্তারবাবু অপারেশন থিয়েটারে ছিলেন না। কিছু স্বাস্থ্যকর্মীকে দিয়ে সেলাইয়ের কাজ করা হয়েছে। অপটু হাতে তাঁরাই গণ্ডগোল পাকিয়েছেন।” অভিযোগ, জরায়ু সেলাই করতে গিয়ে ক্ষুদ্রান্ত্র সেলাই করে দিয়েছেন অপ্রশিক্ষিত নার্সরা। তাতেই মলত্যাগ বন্ধ হয়ে গিয়েছে রোগীর। এখনও পর্যন্ত কিছু খেতে পারছেন না গৌরী মণ্ডল।
এবিষয়ে কথা বলতে গিয়ে চিত্তরঞ্জন সেবাসদনের প্রিন্সিপাল আশিস মুখোপাধ্যায় জানান, যে হাসপাতালে সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার হয়েছিল সেখানকার কর্মীদের আরও সজাগ থাকা উচিৎ ছিল। গৌরীদেবীকে দ্রুত সুস্থ করে তোলার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন সেবাসদনের চিকিৎসকরা।