বাবুল হক, মালদহ: বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ককে কেন্দ্র করে সূদূর কাকদ্বীপ থেকে ছুটে এসে প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধরনায় বসলেন দুই সন্তানের মা। আজব এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার সকাল থেকে মালদহের মালতীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চিলাপাড়া এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলার বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কাকদ্বীপ এলাকায়। চিলা পাড়া এলাকার বাসিন্দা তথা প্রেমিক বানিজ আলির (৩১) বাড়ির সামনে এদিন সকাল থেকে ওই মহিলা ধরনায় বসেছেন। ওই বিবাহিত মহিলার দাবি, স্ত্রীর মর্যাদা পেতেই প্রেমিকের বাড়ির সামনে বিয়ের দাবিতে ধরনায় বসে রয়েছেন।
[আরও পড়ুন: কেশবপুরে সমবায় সমিতির ভোটে জয়জয়কার তৃণমূলের, মুখ থুবড়ে পড়ল রাম-বাম জোট]
ওই মহিলা জানান, তাঁর বোনের বিয়ে হয়েছে চিলা পাড়া গ্রামে। একদিন বানিজের মোবাইল থেকে তাঁর বোন তাঁকে ফোন করেছিল। সেই থেকে বানিজ তাঁকে বারবার ফোন করে প্রেম নিবেদন করেন বলে দাবি। তাঁর প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান মহিলাও। বানিজের সঙ্গে তাঁর প্রায় এক বছরে সম্পর্ক। মহিলার দাবি, তাঁরা একসঙ্গে সময় কাটিয়েছে। তাঁদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। প্রেমিকের হাত ধরে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গিয়েছেন, কলকাতায় দু’বার দেখা করেছেন, হোটেলেও থেকেছেন বলে দাবি বানিজের প্রেমিকার। তামিলনাড়ুতে তাঁরা একটানা তিন মাস স্বামী-স্ত্রীর মতো সময় কাটিয়েছে। এলাকার সবাই তাদের স্বামী-স্ত্রী বলেই জানত। মহিলা আরও জানিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে। প্রেমিক তাঁকে বিয়ে করবে বলে কথা দিয়েছিলেন। এমনকী, বিয়ে করবেন বলে বুধবার তাঁকে নিজের বাড়িতে ডাকেন বানিজ। কিন্তু এদিন বানিজের বাড়িতে গেলে তাঁর দেখা পাননি মহিলা।
অভিযোগ, তিনমাস ধরে মালদহের (Maldah) ওই যুবক বিভিন্ন টালবাহানা করে সম্পর্ক দূর করার চেষ্টা করছে। দু’সপ্তাহ আগে তাঁদের ফোনে কথাও হয়েছে। মহিলাকে বিয়ে করবে বলে নিজের বাড়িতে ডেকে পাঠালেও বানিজের সঙ্গে দেখা হয়নি। এই অভিযোগ তুলে প্রেমিককে বিয়ের দাবিতে তাঁর বাড়ির সামনে ধরনায় বসে রয়েছেন ওই মহিলা। ওই যুবক তাঁকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে বাড়িতে না নিয়ে গেলে তার বাড়ির সামনেই আত্মহত্যা করবেন বলে জানান। প্রেমিক বানিজ আলির বাবা জবেদ আলি জানান, ছেলের প্রেমের সম্পর্ক সে জানেন না। তবে তার ছেলে তাঁকে বিয়ে করে সংসার করতে চাইলে তার কোনও আপত্তি নেই।