সুব্রত বিশ্বাস: শ্বশুরবাড়ির লোকজনের লাগাতার অত্যাচার। ব্যতিক্রম নন স্বামীও। আর সেই অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতে সাত বছরের মেয়েকে নিয়ে শেষপর্যন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন এক মহিলা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দু’জনের। সাধারণতন্ত্র দিবসের (Republic Day) দিন ঘটা এই মর্মান্তিক ঘটনায় স্ত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে মহিলার স্বামী, পেশায় ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করল দমদম (Dum Dum) রেল পুলিশ (Rail Police)। বেলঘরিয়া (Belghoria) থেকে বিশ্বনাথ বিশ্বাস নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মৃত মহিলার বাপেরবাড়ির অভিযোগ, তাঁদের মেয়েকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে বিশ্বনাথ, তার মা ও দুই বোন। তবে বিশ্বনাথকে গ্রেপ্তার করলেও তাঁর মা ও দুই বোনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। এর আগে সাধারণতন্ত্র দিবসে বেলঘরিয়া-আগরপাড়া স্টেশনের মাঝে রানাঘাট লোকালের সামনে সাত বছরের মেয়েকে নিয়ে ঝাঁপ দেন কাঞ্চনা বিশ্বাস (৪০)। দু’জনেই ঘটনাস্থলে মারা যান। ট্রেন চালকের দেওয়া বয়ানের ভিত্তিতে এরপর রেল পুলিশ আত্মহত্যার মামলা দায়ের করে। তাঁর কাছে পাওয়া সুইসাইড নোটে আত্মহত্যায় প্ররোচনা ও অত্যাচারের বর্ণনা রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
[আরও পড়ুন: ভাঙন রোখার চেষ্টা! অমিত শাহর সফরের আগেই দলের সাংসদ-বিধায়কদের তলব মমতার]
জানা গিয়েছে, বেলঘরিয়ার চৌধুরীপাড়ার বাসিন্দা বিশ্বনাথ বিশ্বাস পেশায় ব্যবসায়ী। কয়েক বছর আগে বাঁশবেড়িয়া মিলনপল্লির বাসিন্দা কাঞ্চনার সঙ্গে তার বিয়ে হয়। দু’জনের সাত বছর বয়সি এক মেয়েও ছিল। কিন্তু সম্প্রতি কাঞ্চনার উপর স্বামী, শাশুড়ি, ননদদের অত্যাচার বেড়েই চলছিল। আর সেই অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতেই আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন ওই গৃহবধূ। বেলঘরিয়া থানায় দায়ের করা অভিযোগে এ কথাই জানান কাঞ্চনার পরিবারের লোকজন। এরপরই বেলঘরিয়া থানা ওই ব্যক্তিকে আটক করে দমদম রেল পুলিশের হাতে তুলে দেয়। রেল পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। দু’টি আলাদা মামলাকে একত্র করে পুরোটাই রেল পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তদন্তের পর প্রয়োজনে মৃতার শাশুড়ি ও ননদদেরও গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে রেল পুলিশ।