সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রতিবেশীর মেয়েকে অপহরণ করেছে তাঁদের ছেলে, এই অভিযোগে বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল পুলিশ। সেই থেকেই ভয় পাচ্ছিলেন, হয়তো তাঁদের গ্রেপ্তার করবে পুলিশ। সেই অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী হলেন একই পরিবারের তিনজন। দুই বোন এবং তাঁদের মা, তিনজনেই বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) হাথরসে।
ঘটনার সূত্রপাত গত ৩ মে। মেহক সিং নামে এক ব্যক্তির ছেলের বিরুদ্ধে একটি মেয়েকে অপহরণের অভিযোগ আনা হয়। জানা গিয়েছে, দলিত মেয়েটি অনগ্রসর শ্রেণিভুক্ত ছেলের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিল। মেয়েটির পরিবারের তরফে অভিযোগ পেয়েই মেহকের বাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিশ। কিন্তু তাদের না পেয়ে পরিবারের এক সদস্যকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। মেহকের পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, থানায় প্রচণ্ড মারধর করা হয় ওই ব্যক্তিকে। তবে পুলিশ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
[আরও পড়ুন: প্রেমিকের সঙ্গে থাকার ইচ্ছা, বিয়ের ২৫ বছর পরে ‘সুপারি’ দিয়ে স্বামীকে খুন করালেন স্ত্রী]
এই ঘটনার পরেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন মেহকের স্ত্রী ও কন্যারা। মেহক জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রী ও কন্যাকে হুমকি দিয়েছিলেন স্থানীয় থানার পুলিশ আধিকারিক (Uttar Pradesh Police) নরেশ পাল। পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করবে, এই ভয়ে মা ও দুই মেয়ে বিষ খান। বড় মেয়ে স্বাতীর মৃত্যু হয় বুধবার রাতে। বৃহস্পতিবার সকালে মারা যান মেহকের স্ত্রী অনুরাধা ও ছোট মেয়ে প্রীতি। তাঁদের মৃত্যুর খবরে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের শেষকৃত্য করার আগে পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করতে জেলাশাসক রাজকমল যাদব ও এসপি নীরজ কুমার গ্রামে যান। তাঁদের উপস্থিতিতেই মৃতদের শেষকৃত্য করা হয়।
গ্রামবাসীদের দাবি মেনে নিয়েই নরেশ পালের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সেই সঙ্গে অভিযোগ করা হয়েছে পালিয়ে যাওয়া মেয়েটির দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধেও। আপাতত অশান্তি এড়াতে গ্রামে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। কিন্তু এখনও অভিযুক্তদের কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি বলেই জানিয়েছে পুলিশ।