দেবব্রত মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: এক মহিলার ক্ষতবিক্ষত নগ্ন দেহ উদ্ধার হল গড়িয়া স্টেশন সংলগ্ন কয়লাপট্টি এলাকা থেকে। বুধবার গড়িয়া স্টেশন রোডে বছর ছত্রিশের ওই মহিলার নগ্ন ক্ষতবিক্ষত দেহ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দেহটি একদিকে ও মহিলার একটি পা অন্যদিকে পড়ে ছিল। মহিলার গোটা শরীরে ছিল একাধিক আঘাতের চিহ্ন। ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করছে পুলিশ। তদন্ত নেমে সোনারপর থানার পুলিশ ওই মহিলার পরিচয় জানতে পেরেছে। মৃতের নাম সুলতানা বিবি।
[ঝড়ে মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য কলকাতা পুরসভার]
পুলিশ সূত্রে খবর, সুলতানা বিবি কনকধরপুরের একটি ভাড়া বাড়িতে মা ও ছেলেকে নিয়ে থাকেন। তিনি স্বামী পরিত্যক্তা ছিলেন। স্থানীয় একটি ব্যাগের কারখানায় কাজ করতেন তিনি। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলা মদ্যপান করতেন নিয়মিত। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কাজ থেকে বাড়ি ফিরতে দেরি করায় চিন্তিত হয়ে পড়েন সুলতানার ছেলে ও মা। এরপর তাঁরা খুঁজতে বের হন। তখনই তাঁরা দেখতে পান, গড়িয়া স্টেশনের কাছে কয়লাপট্টি এলাকায় মদ্যপান করছেন ওই মহিলা। এরপর ছেলে সুলতানাকে বাড়ি যাওয়ার কথা বললে তখন তিনি জানান একটু পড়েই বাড়ি ফিরে আসছেন। এই নিয়ে ছেলের সঙ্গে বচসাতেও জড়ান সুলতানা। এরপর দিদিমাকে নিয়ে বাড়ি ফিরে যান সুলতানার ছেলে। এরপরই শুরু হয় জোড়া কালবৈশাখীর তাণ্ডব। রাতে আর বাড়ি ফেরেননি সুলতানা।
এরপরই বুধবার সকালে এক মহিলার দেহ উদ্ধার হয়। তারপর পরিচয় খুজঁতে গিয়ে জানা যায় সেটি সুলতানারই মৃতদেহ। পুলিশ সূত্রে খবর, শরীরে একাধিক ক্ষতচিহ্ন ছিল। গলায় ছিল গভীর ক্ষত চিহ্ন। যা দেখে পুলিশ মোটামুটি নিশ্চিত খুন করা হয়েছে সুলতানাকে। এরই পাশাপাশি সুলতানার নগ্ন দেহ দেখে পুলিশের অনুমান খুন করার আগে ধর্ষণের শিকারও হয়ে থাকতে পারেন ওই মহিলা। অথবা খুনিদের হাত থেকে বাঁচতে গিয়ে ধস্তাধস্তিতেও পোশাক খুলে গিয়ে থাকতে পারে মহিলার পোশাক সেই সম্ভাবনাও খতিয়ে দখেছে পুলিশ। যদিও ধর্ষণ হয়েছে কি না ও মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে দেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। স্থানীয় কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদও করেন পুলিশ আধিকারিকরা।
[বেলেঘাটার সুভাষ সরোবরে ভেসে উঠল যুবকের দেহ, আতঙ্কিত প্রাতঃভ্রমণকারীরা]
The post ঝড়ের রাতে গড়িয়ায় মহিলাকে নৃশংসভাবে খুন, উঠছে গণধর্ষণের অভিযোগও appeared first on Sangbad Pratidin.