অর্ক দে, বর্ধমান: স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে লজে ওঠার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মহিলার অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার। নিখোঁজ তাঁর পুরুষসঙ্গী। বর্ধমানের বিটি রোডের লজে দেহ উদ্ধারের ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। পুরুষসঙ্গীর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছেন তদন্তকারীরা।
রবিবার দুপুরে ঘড়ির কাঁটায় তখন ১২টা ৫০ মিনিট হবে। স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে ওই লজে ওঠেন বছর ছত্রিশের পায়েল বেগম এবং মহম্মদ নজরুল খান। লজে জমা দেওয়া পরিচয়পত্র অনুযায়ী, তাঁরা দুজনেই বর্ধমানের খাগড়াগড়ের বাসিন্দা। বিটি রোডের একটি লজে ওঠেন দুজনে। বেলা ১টা ৪৫ মিনিট নাগাদ হোটেল থেকে বেরতে দেখা যায় নজরুলকে। লজ কর্মীরা মহিলার খোঁজ নেন। নজরুল দাবি করেন, পায়েল বেরনোর জন্য তৈরি হচ্ছেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই বেরবেন। ইতিমধ্যেই লজ ছাড়েন নজরুল।
[আরও পড়ুন: বিশ্বজয়ের পরই বিদায়, বিরাট-রোহিতের পথ ধরে টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর জাদেজারও]
এদিকে, প্রায় ঘণ্টাখানেক কেটে গেলেও পায়েলকে ঘর থেকে বেরতে দেখেননি কেউ। তাতেই সন্দেহ হয়। লজের ঘরের দরজায় গিয়ে ধাক্কা দেন তাঁরা। কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। তাতে সন্দেহ আরও দানা বাঁধে। দরজা ঠেলে ভিতরে ঢোকেন লজকর্মীরা। তাঁরা ভিতরে ঢুকে আঁতকে ওঠেন। দেখেন বিছানার উপরে অর্ধনগ্ন অবস্থায় পড়ে রয়েছেন মহিলা। তড়িঘড়ি বর্ধমান থানার পুলিশকে খবর দেন লজ কর্মীরা। তড়িঘড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।
ওই লজের ম্যানেজারের দাবি,"পায়েল এবং নজরুল প্রায়শয়ই হোটেলে আসতেন। গত ৭ জুনও হোটেলে আসেন দুজনে। পরিচয়পত্র লজে জমা রাখা হয়। স্বামী-স্ত্রী বলে পরিচয় দেন।" তাঁরা আদতে স্বামী-স্ত্রী কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। স্থানীয়দের অভিযোগ, বর্ধমান পুলিশ সুপারের অফিস থেকে ঢিলছোঁড়া দূরত্বে রয়েছে ওই লজটি। শহরের প্রাণকেন্দ্রের এই লজটিতে মধুচক্রের আসরও বসত বলেই অভিযোগ। কীভাবে পুলিশ সুপারের অফিস থেকে ঢিলছোঁড়া দূরত্বে এমন ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।