অভিষেক চৌধুরী,কালনা: ভগবানের দুয়ারে ভক্ত সেজে একেবারে ফিল্মি কায়দায় নিখুঁত অপারেশন। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। দিনেদুপুরে চুরি করে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা বৃথাই হল। পুলিশের জালে ধরা পড়ল বেশ কয়েকজন ‘সুন্দরী’ চোর।
পূর্বস্থলীর জামালপুরের বুড়োরাজ মন্দিরে সোমবার এই ঘটনায় পুলিশ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে বলে খবর। এই গ্যাংটির সঙ্গে আন্তঃরাজ্য চক্রের চুরির ঘটনার যোগ আছে কি না, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে। ধৃতদের মঙ্গলবার কালনা মহকুমা আদালতে তোলা হয়। আদালতের নির্দেশে আপাতত পুলিশ হেফাজতে অভিযুক্তরা। এই বিষয়ে কালনা এসডিপিও সপ্তর্ষি ভট্টাচার্য বলেন, “জামালপুরের বুড়োরাজের মন্দিরে এক মহিলার হার ছিনতাই করে পালিয়ে যাওয়ার পর ৬ জন মহিলা-সহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদের সকলেরই বাড়ি হুগলিতে। চুরি যাওয়া হার উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে তারা যুক্ত রয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।”
[আরও পড়ুন: ‘কোভিডমুক্ত’ কর্মীরা, প্রস্তুতিও সারা, আগস্টের প্রথমেই লোকাল ট্রেন চালাতে চায় রেল]
ঠিক কোন কায়দায় চুরি হল? স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,পূর্বস্থলী ২ ব্লকের জামালপুরের বুড়োরাজের মন্দিরের বাইরে ভক্তদের লাইন ছিল। হঠাৎই অকারণে লাইনে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। বেশ কয়েকজন ভক্ত মাটিতে পড়েও যান। সেই ফাঁকেই ওই লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকজন মহিলা, পড়ে যাওয়া মহিলা স্বপ্না দাসের গলা থেকে সোনার হার ছিনতাই করে চোখের নিমেষেই গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায়। স্বপ্না দাসের নজরে আসে গাড়ির ওই নম্বরটি। সঙ্গে সঙ্গে স্বপ্নাদেবী ওই ঘটনার কথা স্থানীয় সিভিক ভলান্টিয়ারদের জানান। গাড়িটিকে ধরতে জোর তল্লাশি শুরু হয়ে যায়। তারপরই গাড়ি-সহ সুন্দরী মহিলা চোরের দলটি পুলিশের হাতে ধরা পড়ে।
পূর্বস্থলীর বাসিন্দা স্বপ্না দাস জানান, তিনি ওইদিন পুজো দেবেন বলে দু-হাতে পুজোর ডালা নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। তাঁর সামনে পিছনে অভিযুক্ত মহিলারাও দাঁড়িয়ে ছিল। হঠাৎ করেই জোর ধাক্কা দিতে পড়ে যাই। তারপরই দেখতে পাই আমার গলার সোনার হারটা নেই। দেখি, ওই মহিলারা পুজো না দিয়ে ছুটে একটি গাড়িতে উঠে পালায়। সন্দেহ হতেই বিষয়টি পুলিশকে জানাই। থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।” পুলিশের তৎপরতায় খুশি তিনি।