সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ড্রাগনের ফোঁসফোঁসের পালটা ‘তেজস্বী’র তেজ। চিন সীমান্ত (China Border) পাহারায় এবার ভারতীয় সেনার নারীবাহিনী। যুদ্ধবিমান ওড়াবেন ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তেজস্বী ও তাঁর দুই সহকর্মী। সুখোই (Sukhoi) বিমানে মহড়া দিয়ে অসমের তেজপুরের বিমানঘাঁটিতে নামলেন তিনজন। হুঁশিয়ারির সুরে বললেন, ”পূর্ব ভারতে আকাশপথে চিনের উপর নজরদারি আমাদের কাছে স্বপ্ন। আমাদের বিমান চালকরা যে কোনওরকম হামলার মোকাবিলা করতে প্রস্তুত।”
উত্তরে পাকিস্তান (Pakistan), উত্তর-পূর্বে চিন (China), ভারতের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিবেশী দেশকে সদাসর্বদা নজরে রাখে ভারতীয় সেনাবাহিনী (Indian Army)। বিশেষত চিন সীমান্তে দু’দেশের মধ্যে নিরাপত্তা নিয়ে যেমন টানটান উত্তেজনা চলছে এই মুহূর্তে, তাতে ড্রাগনের দেশের দিকে বাড়তি নজর থাকছেই সেনাবাহিনীর। এই পরিস্থিতিতেই লালফৌজের মুখোমুখি হতে নারীবাহিনীকে পাঠাল ভারতীয় সেনা। সদ্যই গোগরা স্প্রিং এলাকা থেকে সরানো হয়েছে দু’দেশের বাড়তি বাহিনীকে। কিন্তু কূটনৈতিক দিক থেকে অতি সতর্ক ভারত। ভরসা তেজস্বীরা (Tejaswi)।
ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তেজস্বী এবং তাঁর দুই সঙ্গীকে দিয়েই নারী শক্তিকে আকাশপথে যুদ্ধে নামানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। আর সেই প্রস্তুতিতে যে ১০০ শতাংশ পাশ করে গিয়েছেন তিন মহিলা পাইলট (Women Pilots), তাতে কোনও দ্বিধা নেই। মঙ্গলবার তেজপুরের বিমান ঘাঁটিতে গিয়ে তাঁরা সুখোই-৩০ বিমানে চড়ে চক্কর কাটলেন চিন সীমান্তের দিকে। নিরাপত্তার স্বার্থে এখানে যান্ত্রিক কিছু যুদ্ধাস্ত্র রাখা হবে। সেসব পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন তেজস্বী ও তাঁর টিম।
[আরও পড়ুন: জেফ বেজোসের সঙ্গে টক্কর, বিশ্বের ধনী তালিকায় তিন নম্বরে নেমে গেলেন আদানি]
তেজস্বীর কথায়, ”ভারতীয় সেনাবাহিনীর যে কোনও ট্রেনিং সবসময়েই চ্যালেঞ্জের। সে পুরুষ কিংবা নারী – সকলের ক্ষেত্রেই। খুব কড়া চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে সকলকে যেতে হয়। আমাদের সেসব চ্যালেঞ্জের মোকাবিলাও করতে হয়। তবে আমরা সকলেই পূর্ব সীমান্তে যে কোনও প্রতিদ্বন্দ্বীকে রুখতে প্রস্তুত।” আরেক ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট শ্রেয় বাজপেয়ীর কথায়, ”দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যুদ্ধবিমান নিয়ে ওড়া আলাদা অভিজ্ঞতা। তবে উত্তর-পূ্র্ব সীমান্তের আবহাওয়া ও ভূপ্রকৃতির জন্য তা একটু কঠিন। তবে আমরা এখানেও দক্ষতার সঙ্গে নজরদারি চালানো এবং নিজেদের লক্ষ্যপূরণে প্রস্তুত।”