মনিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: দিঘি ভরাটকে কেন্দ্র করে হাওড়ার পাঁচলার জুজারসা দিঘিরপাড় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা। বহিরাগতরা গ্রামে ঢুকে মহিলাদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পরে দ্রুত পাঁচলা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। যদিও পুলিশের বক্তব্য ধস্তাধস্তি হয়েছে। এদিকে ঘটনার পর এলাকাবাসীরা পথ অবরোধ করে বেশ কয়েক ঘন্টা। এই ঘটনায় তৃণমূল নেতৃত্ব বিরোধীদের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছে। তৃণমূলের অভিযোগ, বিরোধীরা এলাকাকে অশান্ত করার জন্য গ্রামবাসীদের প্ররোচিত করছে।
দিঘিরপাড় এলাকায় একটি বেসরকারি সংস্থা শিল্প কারখানা নির্মাণের জন্য জমি ভরাট করছিল। সেখানে একটি দিঘিও ছিল এবং সেটাও ভরাটের কাজ চলছিল। তৃণমূলের প্রত্যক্ষ মদতে হচ্ছিল এই দিঘি ভরাটের কাজ। শনিবার এলাকার প্রচুর মহিলা সেই কাজ বন্ধ করে দেয় ছাই ভর্তি ডাম্পার আটকে দেয় এবং দিঘিরপাড়ের রাস্তার সামনে ইট দিয়ে অস্থায়ী একটি প্রাচীর গড়ে তোলে। প্রতিবাদে পথে নামেন মহিলারা।এদিকে, রবিবার একজন গ্রামে গিয়ে তাঁদের উপর চড়াও হয়। তাঁদের মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: ‘কাঞ্চন আমাকে ভালো সামলাবে’, ৫৩-র তারকা বিধায়ককে বিয়ে করেই ট্রোলের জবাব শ্রীময়ীর]
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পাঁচলা থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে। পাঁচলার তৃণমূল বিধায়ক গুলশন মল্লিক বলেন, “জমি যে সংস্থা নিয়েছে সেখানে তারা কি করবে সেটা তাদের ব্যাপার। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। এছাড়া সরকারি নথি অনুযায়ী ওখানে সবটাই শালি জমি। পাঁচলার পরিস্থিতি শান্ত। বিরোধীরা সেখানে কিছু এলাকাবাসীকে উসকে অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছে। দলের সমস্ত কর্মীদের বলে দিয়েছি কেউ কোনও প্ররোচনায় যেন পা না দেন।” ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা ফরিদ মোল্লা বলেন, “বিরোধীদের উপর মিথ্যা অভিযোগ করছেন বিধায়ক। শিল্পের নামে পুকুর, খাল বুজিয়ে দেওয়া হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই এলাকার মানুষেরা প্রতিবাদ করবেন। প্রতিবাদীদের উপর তৃণমূলের আক্রমণের তীব্র নিন্দা করি।” বিজেপিও তাদের বিরুদ্ধে তৃণমূলের আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছে।