সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অশিক্ষার অন্ধকার গ্রাস করছে আফগানিস্তানকে (Afghanistan)। ক্ষমতায় এসে মহিলাদের অধিকার রক্ষার কথা বলেছিল তালিবান। অনেকেই ভেবেছিলেন যে এবারে হয়তো কিছুটা বদলেছে তালিবরা। কিন্তু আশঙ্কা সত্যি করে স্বমেজাজে ফিরেছে তারা। কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের পর এবার স্কুলেও মহিলাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করল জেহাদি সংগঠনটি।
[আরও পড়ুন: ‘তালিবান রোজ টুইট করে, কিন্তু আমার উপরই নিষেধাজ্ঞা’, এবার টুইটারের বিরুদ্ধে আদালতে ট্রাম্প]
এক নির্দেশিকা জারি করে ছেলেদের স্কুলে শিক্ষিকা ও মহিলাকর্মীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করল তালিবানের শিক্ষামন্ত্রক। আফগানিস্তানের জেহাদি সরকারের এহেন পদক্ষেপে কয়েক হাজার মহিলা শিক্ষিকাকর্মীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। কাবুলের গুলাম হায়দর খান হাইস্কুলে গত ৩৩ বছর ধরে শিক্ষাদান করছেন আজিজা। কিন্তু তালিবান ক্ষমতা দখল করায় তিনি কাজ হারিয়েছেন। ওই শিক্ষিকার কথায়, "৩৩ বছর ধরে আমি কেমিস্ট্রি পড়াচ্ছি। কিন্তু এখন আমার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত।" ওই স্কুলের প্রিন্সিপাল আসাদুল্লা কোহিস্তানি জানিয়েছেন, শিক্ষিকাদের উপর তালিবানি নিষেধাজ্ঞার জেরে শিক্ষককর্মীদের চরম অভাব দেখা দিয়েছে।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ে মহিলাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে জেহাদি সংগঠনটি। পড়ুয়া, শিক্ষিকা বা শিক্ষাকর্মী, কোনও মহিলাকেই আর বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। আফগানিস্তানের সবচেয়ে বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে এহেন তালিবানি ফতোয়ায় মহিলাদের শিক্ষা ও অধিকার নিয়ে বড়সড় অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে দেশে। এই ফরমান জারি করেছিল কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত 'বিএ পাশ' উপাচার্য মহম্মদ আহরফ ঘাইরত। যার প্রতিবাদে ইস্তফা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮০ জন শিক্ষক। বিতর্কিত মন্তব্য করার জন্য আফগানিস্তানের প্রগতিশীল শিক্ষিত মহল আশরফকে আদপেই পছন্দ করে না।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, সম্প্রতি হেলমন্দ প্রদেশের নাপিত এবং স্যালোঁগুলির জন্য নয়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, দাড়ি কাটা বা ছাঁটা ইসলাম বিরোধী। তাই কেউ দাড়ি কাটতে বা ছাঁটতে এলে তাদের ফিরিয়ে দিতে হবে। অন্যথায় শাস্তির মুখে পড়তে হবে নাপিতদের। একই ধরনের নির্দেশিকা জারি হয়েছে কাবুলেও।