সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত কয়েক দশকের বরফ গলতে শুরু করেছে৷ পুরুষতান্ত্রিক খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসছে আধুনিক, উন্নততর সশস্ত্র সেনাবাহিনী৷ হাতেগোনা বিশ্বের প্রথম সারির কয়েকটি দেশের সেনাবাহিনীর রীতি মেনে এবার ভারতও মহিলা সেনানীদের যুদ্ধে অংশগ্রহণের অনুমতি দিতে চলেছে৷ গত বেশ কয়েক দশক ধরে এই নিয়ে তীব্র টানাপোড়েন চলছিল সেনাবাহিনীর অন্দরে৷ এবার সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, সরাসরি সংঘাতেও মহিলা জওয়ানদের অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হবে৷
[এই প্রথম বিদেশ সফরে মোদির নিরাপত্তার দায়িত্বে মহিলা এসপিজি]
জেনারেল রাওয়াত এদিন বলেন, “প্রচুর সংখ্যক মহিলা এখন ভারতীয় সেনায় যোগ দিচ্ছেন৷ তাঁরা চাইছেন মুখোমুখি সংঘাতে অংশগ্রহণ করতে৷ আমি তাঁদের আশ্বাস দিচ্ছি, দ্রুতই তাঁদের দাবি পূরণ করা হবে৷” মহিলাদের প্রথমে মিলিটারিতে পুলিশ জওয়ানের ভূমিকায় নিয়োগ করা হবে৷ তারপর ধীরে ধীরে সেনার যে সমস্ত পদে এতদিন পুরুষরা দাপিয়ে এসেছেন, সেখানেও মহিলাদের নিয়োগ করা হবে৷
বর্তমানে ভারতীয় সেনায় নিযুক্ত মহিলারা ডাক্তার, শিক্ষক, আইনজীবী, সিগন্যালিং ইন্সট্রাকটার ও ইঞ্জিনিয়ারের পদে কর্মরত৷ কিন্তু সরাসরি যুদ্ধে তাঁদের কোনও ভূমিকা থাকে না৷ কিন্তু এবার ভারত সরকার মহিলাদেরও জওয়ান হিসাবে নিয়োগ ও যুদ্ধে পাঠানোর কথা ভাবছে৷ ইতিমধ্যেই এই প্রক্রিয়া শুরুও হয়ে গিয়েছে বলে সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন জেনারেল বিপিন রাওয়াত৷ মহিলাদের প্রতি তাঁর পরামর্শ, “শত্রুকে নিকেশ করতে যুদ্ধক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার জন্য তৈরি থাকুন৷” বর্তমানে আমেরিকা, ব্রিটেন, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ইজরায়েলের মতো দেশে মহিলাদের যুদ্ধে অংশগ্রহণের অনুমতি রয়েছে৷
২০১৬-য় ভারতীয় বায়ুসেনা প্রথমবার তিন মহিলাকে যুদ্ধবিমান চালানোর অনুমতি দেয়৷ অবনী চতুর্বেদী, ভাবনা কান্থ ও মোহনা সিং এখন ভারতীয় বায়ুসেনার ফাইটার স্কোয়াড্রনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ৷ এর পাশাপাশি, ভারতীয় নৌসেনাও মহিলাদের যুদ্ধজাহাজে অংশগ্রহণের বিষয়টি খতিয়ে দেখছে৷