সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাঁর বাবা, ২৬/১১ মুম্বই হামলার শহিদ হেমন্ত কারকারের মৃত্যু নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন ভোপালের বিজেপি প্রার্থী সাধ্বী প্রজ্ঞা ঠাকুর৷ প্রবল সমালোচিত হন মালেগাঁও বিস্ফোরণ কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত৷ কিন্তু ১১ বছর পর সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলেও, সেই বিষয়ে কিছুই বললেন না হেমন্ত কারকারের মেয়ে জুঁই নাভারে৷ কেবল জানালেন, বাবা শিখিয়েছিলেন সন্ত্রাসবাদের কোনও ধর্ম হয় না৷ পরিবারের থেকেও দেশ ও সমাজের প্রতি কর্তব্যকে আগে স্থান দিয়েছিলেন তিনি৷
[আরও পড়ুন: স্ত্রী’র সঙ্গে ঝগড়ার জের, ১৩ বছরের মেয়েকে ধর্ষণ করল বাবা! ]
বর্তমানে মার্কিন মুলুকে থাকেন জুঁই৷ সেখান থেকে সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, ‘‘বাবা আমাদের শিখিয়েছেন সন্ত্রাসবাদের কোনও ধর্ম হয় না। কোনও ধর্মই হত্যা করতে শেখায় না। কর্মজীবনের ২৪টা বছর জুড়ে বাবা সবাইকে সাহায্য করে এসেছেন। মৃত্যুর সময়েও নিজের জীবনের পরোয়া না করে শহরকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছেন তিনি। আমি চাই এটাই সবাই মনে রাখুক৷’’ এরপর সাধ্বী প্রজ্ঞার মন্তব্যের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমি ওনাকে নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাই না। শুধু বলব, আমার বাবা একজন আদর্শ মানুষ ছিলেন৷ ওনার নামটা যেন সম্মানের সঙ্গে উচ্চারণ করা হয়৷”
[আরও পড়ুন: লুকিয়ে ক্যানসারের বিষ! দেশজুড়ে নিষিদ্ধ জনসন অ্যান্ড জনসন বেবি শ্যাম্পু ]
প্রসঙ্গত, বিজেপি তাঁকে ভোপালের প্রার্থী করার পরেই প্রথম বিতর্কিত মন্তব্যটি করেন সাধ্বী প্রজ্ঞা৷ জানান, তাঁর অভিশাপেই মৃত্যু হয়েছে মুম্বই হামলার শহিদ হেমন্ত কারকারের৷ তাঁর অভিযোগ, জেলে থাকাকালীন তাঁর উপর অমানবিক অত্যাচার চালিয়েছিলেন হেমন্ত কারকারে৷ সাধ্বীর এই মন্তব্যের ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই তোলপাড় পড়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে আসরে নেমে পড়ে বিরোধী দলগুলি। প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি করে কংগ্রেস। তীব্র নিন্দা করে আইপিএসদের সংগঠন। স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে তদন্তের নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন। যদিও পরে সমালোচনার মুখে নিজের বয়ান বদল করেন সাধ্বী। বিবৃতি দিয়ে বলেন, ‘কাউকে ব্যক্তিগতভাবে আঘাত দিতে চাইনি। কেউ যদি আঘাত পেয়ে থাকেন তাহলে ক্ষমা চাইছি। আমি এভাবে বলিনি। আমার মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে।’
The post কুমন্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিয়ে সাধ্বীকে মহিমান্বিত করতে চান না হেমন্ত কারকারের মেয়ে appeared first on Sangbad Pratidin.