সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিভিন্ন ইস্যুতে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দাগছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিক বিজেপি সেনাপতি অমিত শাহও রাজ্যে এসে সুর চড়িয়ে গিয়েছেন। সারদা-নারদ, রোজভ্যালি নিয়ে সিবিআই, ইডির তদন্তে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র দেখছে রাজ্যের শাসক দল। অন্যদিকে শমীক ভট্টাচার্য, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের ব্যাপারে সিআইডির তদন্তে রাজ্য বিজেপি পালটা প্রতিহিংসার তির ছুড়ছে। অথচ, সাম্প্রতিক এই টানাপোড়েন নিয়ে আশ্চর্যভাবে নীরব তৃণমূলের বিশ্বস্ত ও প্রবীণ সৈনিক মুকুল রায়। এ নিয়ে নানা জল্পনার ছড়াছড়ি। এবার সে সবেরই জবাব দিলেন তিনি।
[ চাঁদা তুলে বাড়িতেই অনাথ আশ্রম ও হাসপাতাল গড়ে নজির ‘পদ্মশ্রী’ করিমুলের ]
তৃণমূল কংগ্রেসের মুখ অবশ্যম্ভাবী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সততা, মানুষের পক্ষে দাঁড়িয়ে লড়াই করা, তাঁর রাজনৈতিক দর্শন নিঃসন্দেহে দলকে সমৃদ্ধ করেছে। এবং চৌত্রিশ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে রাজ্যে ক্ষমতায় এনেছে তৃণমূলকে। কিন্তু দলের এই বড় হওয়ার পিছনে অবশ্যই থাকে কুশলী সংগঠনী শক্তি। যার কৃতিত্ব বহু তৃণমূল সমর্থকই দেন দলের অন্যতম প্রধান নেতা মুকুল রায়কে। এককালে দলের দ্বিতীয় কম্যান্ড হিসেবে তাঁকেই বিবেচনা করা হত। কিন্তু সাম্প্রতিক অতীতে বেশ কিছুক্ষেত্রে ধরা পড়েছে ভিন্ন ছবি। তাঁর নীরবতা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। এমনকী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর মতবিরোধ নিয়েও কিছুদিন আগে শোরগোল পড়েছে রাজ্য রাজনীতি। তখন জল্পনা ছড়িয়েছিল যে, নতুন দল তৈরি করতে চলেছেন মুকুল। যদিও সে জল্পনায় জল ঢেলে তিনি থেকেছেন তৃণমূলেই। তবু গত শহিদ দিবসের মঞ্চে যখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারী থেকে ফিরহাদ হাকিমরা বক্তব্য রাখলেন, অথচ থেকেও নীরব থাকলেন মুকুল, তখন ফের জল্পনা মাথাচাড়া দিল। রাজ্য রাজনীতির অলিন্দে শোনা যাচ্ছিল নতুন খবর। তিনি নাকি বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন। তবে এবার সব খবরকে ভুয়ো বলে নস্যাৎ করলেন তিনি। সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, যা খবর প্রচারিত হচ্ছে সব ভুল। তিনি বিজেপিতে যাচ্ছেন না। তাঁর নিজের দল ছেড়ে অন্য কোথাও যাওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই।
[ খুচরো নিতে নারাজ দোকানদার, প্রতিবাদে বিক্ষোভ প্রতিবন্ধী ভিক্ষুকদের ]
নানা ইস্যুতে রাজ্য-কেন্দ্র সম্পর্ক বর্তমানে বেশ উত্তপ্ত। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একের পর এক রাজ্য হাতে আসার পর এবার বিজেপির নজর পশ্চিমবঙ্গে। আর তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দলের বিরুদ্ধে নানা প্রচার চলতেই থাকবে। এহেন পরিস্থিতিতে দলের বরিষ্ঠ নেতার দলত্যাগের জল্পনা মোটেও দলের জন্য মোটেও ভাল বিজ্ঞাপন ছিল না। কিন্তু এদিন সে জল্পনায় ইতি টেনে দিলেন মুকুল নিজেই।
