shono
Advertisement

কেন্দ্রের তরফে আর্থিক অনুমোদন, বাস্তবায়নের পথে আরও একধাপ এগোল ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান

নবান্নে চিঠি পাঠিয়ে দ্বিতীয় পর্যায়ের অনুমোদনের কথা জানাল কেন্দ্র।
Posted: 06:54 PM Jun 25, 2022Updated: 06:57 PM Jun 25, 2022

গৌতম ব্রহ্ম: বাস্তবায়নের পথে আরও একধাপ এগোল গেল ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান (Ghatal Master Plan)। কেন্দ্র-রাজ্য ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে বন্যায় বিপর্যয় রুখতে এই প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের পথে এগোতে চলেছে। সূত্রের খবর, কেন্দ্রের তরফে দ্বিতীয় পর্যায়ের আর্থিক অনুমোদন বা ইনভেস্টমেন্ট ক্লিয়ারেন্স দেওয়া হল। প্রকল্পের ৬০ শতাংশ খরচ বহন করবে কেন্দ্র আর ৪০ শতাংশ দেবে রাজ্য। এই চিঠি পাওয়ার পর প্রকল্প রূপায়ণে তৎপর হয় নবান্ন (Nabanna)।

Advertisement

‘ফ্লাড ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বর্ডার এরিয়া প্রোগ্রাম’-এর অধীনে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে আসার জন্য রাজ্যকে প্রস্তাব দিয়েছিল কেন্দ্র। রাজি হয়েছিল রাজ্য। শর্ত ছিল এই প্রকল্পের অধীনে কেন্দ্র ৬০% টাকা দেবে, রাজ্য ৪০%। কেন্দ্র দীর্ঘদিন ধরে এই টাকা দিচ্ছিল না বলে রাজ্য বরাবর অভিযোগ তুলেছিল। অবশেষে শনিবার কেন্দ্রের তরফে আর্থিক অনুমোদন দেওয়া হল। জানা গিয়েছে, ১২০০ কোটি টাকা দিতে প্রস্তুত কেন্দ্র।

[আরও পড়ুন: ‘ন্যূনতম নৈতিকতা থাকবে না?’, মহারাষ্ট্রের টানাপড়েনের মধ্যেও মতাদর্শে অনড় একমাত্র সিপিএম বিধায়ক]

গত কয়েক দশক ধরেই ঘাটালের বন্যা রাজ্য প্রশাসনের মাথাব্যথার কারণ। প্রতি বছর বর্ষায় বানভাসি হয় পশ্চিম মেদিনীপুরের এই অংশ। গত বছর ঘাটালের দুরবস্থা দেখতে গিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। জলে নেমে কথা বলেছিলেন স্থানীয়দের সঙ্গে। সেই সফরেই তিনি ফের ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের আবেদন কেন্দ্রের কাছে জমা করতে নির্দেশ দেন। গত বছর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পেয়ে ফের নবান্ন চিঠি দেয় কেন্দ্রকে। নীতি আয়োগ এবং কেন্দ্রীয় জলসম্পদ মন্ত্রকের আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যের সাংসদ এবং মন্ত্রীরা। সেই প্রতিনিধি দলের সদস্য ছিলেন ঘাটালের সাংসদ অভিনেতা দেবও। মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য আগেই জানিয়েছিলেন, কেন্দ্র টাকা দিক না দিলে রাজ্যই একক চেষ্টায় বাস্তবায়িত করবে এই প্রকল্প।

[আরও পড়ুন: ২২ দিন আগে স্ত্রীকে কেড়েছে ক্যানসার, সেই শোকেই ঝাঁপ মল্লিকবাজারের রোগীর? উঠছে প্রশ্ন]

ঘাটালের বিভিন্ন নদীবাঁধগুলি রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে। আর তা ভেঙেই মূলত ঘাটাল এলাকায় বন্যা দেখা দেয় ফি বছর। উলটোদিকে জোয়ারের সঙ্গে আসা পলি নদী বাঁধ উপচে ছড়িয়ে পড়তে না পেরে নদীতেই জমতে থাকে পলি মাটি। ফলে নদীর জল ধারণ ক্ষমতা ধীরে ধীরে কমতে থাকে। আর ফি বছর বন্যা প্রবণতাও বাড়তে থাকে। তবে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়িত হলে এই সমস্যার সুরাহা হবে। কেন্দ্র-রাজ্য হাতে হাত ধরে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলেই স্বস্তিতে থাকতে পারবেন ঘাটালবাসী।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup অলিম্পিক`২৪ toolbarvideo শোনো toolbarshorts রোববার