সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুঃসময় আর কাটছে শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka)। দেশ ছেড়েছেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে (Gotabaya Rajapaksa)। নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু পরিস্থিতি যেন কিছুতেই শোধরানোর মতো অবস্থায় পৌঁছচ্ছে না। এরই মধ্যে বিশ্ব ব্যাংক (World Bank) জানাল, এই মুহূর্তে সারা বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মুদ্রাস্ফীতির কবলে পড়েছে যে ১০টি দেশ, তাদের মধ্যে ৫ নম্বরেই রয়েছে দ্বীপরাষ্ট্র।
গত জুলাই মাস থেকেই শ্রীলঙ্কার খাদ্য সরবরাহের অভাব চরম অবস্থায় পৌঁছেছে। সেদেশের কৃষি উৎপাদন ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে সারের ঘাটতির কারণে। পাশাপাশি বিদেশ থেকে খাদ্য আমদানিও বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে বিদেশি মুদ্রার অভাবে। সব মিলিয়ে কলম্বোর সমস্যা ক্রমেই যেন জটিল হচ্ছে। যা প্রকট হল বিশ্ব ব্যাংকের দেওয়া পরিসংখ্যান থেকে।
[আরও পড়ুন: বীরভূম জুড়ে তল্লাশি, বগটুই অগ্নিকাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার নিহত ‘ভাদু শেখ’ ঘনিষ্ঠ ৭]
এই অবস্থায় প্রতিবেশীর পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত। গতকাল, সোমবার নয়াদিল্লির তরফে ২১ হাজার মেট্রিক টন সার পাঠানো হয়েছে শ্রীলঙ্কায়। গত মাসে তাদের ৪৪ হাজার মেট্রিক টনে সার পাঠিয়েছিল ভারত। কলম্বোর ভারতীয় দূতাবাসের তরফে টুইটারে লেখা হয়েছে, ‘এটা বন্ধু ও সহযোগিতার সুবাস।’ ২০২২ সালে ভারতের তরফে মোট ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে শ্রীলঙ্কাকে। কিন্তু এই সাহায্য সত্ত্বেও এখনও শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি বিশ বাঁও জলেই। এই ভয়াবহ সমস্যা সমাধানের উপায় বের করাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বিক্রমসিংহে-গুণবর্ধনেদের কাছে।
উল্লেখ্য, একদিকে চিনের কাছ থেকে নেওয়া চড়া সুদের বিপুল ঋণ, অন্যদিকে শিল্প সংকটের মধ্যে পড়ে হাঁসফাঁস অবস্থা দ্বীপরাষ্ট্রের। গত মাসের শেষে বিশ্ব ব্যাংক জানিয়ে দিয়েছিল, শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে শোধরাতে হলে পরিকাঠামোগত সংস্কার ছাড়া উপায় নেই। আর সেই সংস্কার যতদিন না হচ্ছে, ততদিন নতুন করে আর্থিক সাহায্য করার উপায় নেই বিশ্ব ব্যাংকের। অর্থাৎ এখনই নতুন করে শ্রীলঙ্কাকে সাহায্য করতে পারবে না বিশ্ব ব্যাংক।