সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আশঙ্কাকে সত্যি করে ইউক্রেনকে দ্বিখণ্ডিত করল রাশিয়া। রুশপন্থী বিদ্রোহীদের দখলে থাকা ডোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে ‘স্বাধীন রাষ্ট্র’ হিসেবে স্বীকৃতি দিল মস্কো। পুতিনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ফুঁসছে আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স। রাশিয়ার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দিয়েছে তারা।
‘মিনস্ক শান্তি চুক্তি ভেঙেছেন পুতিন’, এমনটাই দাবি করেছে আমেরিকা, জার্মানি এবং ফ্রান্সের রাষ্ট্রপ্রধানরা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো এবং জার্মানির চ্যান্সেলার ওলাফ শোলৎজ বিবৃতিতে জানিয়েছেন, “এই পদক্ষেপের কড়া জবাব পাবে রাশিয়া।” তাঁরা জানিয়েছেন, ২০১৪ সালে মিনস্ক চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছিল। এদিন সেই চুক্তি ভাঙল রাশিয়া, দাবি আমেরিকার। ইতিমধ্যে রুশ স্বীকৃত দুই স্বাধীন রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে আমেরিকা। সঙ্গী দেশগুলির সঙ্গে আলোচনা করেই পরবর্তী উপযুক্ত পদক্ষেপ করবে আমেরিকা, জানিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কন।
[আরও পড়ুন: মেডিক্যাল পড়ুয়াদের জন্য সুখবর, রাজ্যে বাড়ছে স্নাতকোত্তরের আসন]
রাশিয়ার এই পদক্ষেপে বিরক্ত রাষ্ট্রসংঘও। রাষ্ট্রসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতারেস বলছেন, “ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব নষ্ট করেছে রাশিয়া। রাষ্ট্রসংঘের চুক্তির পরিপন্থী।” তাদের দাবি, রাশিয়া আলোচনায় বসুক। রাষ্ট্রসংঘের জরুরি বৈঠক ডেকেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট। একইসঙ্গে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা চাপানোর আরজিও জানিয়েছেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের কাছে।
প্রসঙ্গত, সোমবার জাতির উদ্দেশে ভাষণে ডোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্রের মর্যাদা দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, অবিলম্বে ডোনেৎস্ক এবং লুহানস্কের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদি সিদ্ধান্তের প্রয়োজন। ইউক্রেন আসলে আমেরিকার হাতের পুতুল।” রুশ প্রেসিডেন্টের এহেন পদক্ষেপের ফলে কূটনৈতিক মহলের আশঙ্কা, এই পদক্ষেপের ফলে পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোর সরকারের সঙ্গে সঙ্ঘাত শুরু হতে পারে রাশিয়ার। ডোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলে রাশিয়ার সেনাবাহিনী প্রবেশ করেছে বলেই খবর।