রাজর্ষি গঙ্গোপাধ্যায়, লন্ডন: ওভালে প্রথম টেস্ট ম্যাচ হয়েছিল ১৮৮০ সালে। পরবর্তী ১৪৩ বছরে ১০৫টি টেস্ট ম্যাচের সাক্ষী থেকেছে এই কিয়া ওভাল। অথচ এই ১৩৩ বছরের ইতিহাসে একটি ম্যাচও জুন মাসে খেলা হয়নি। জুলাই-আগস্ট বা বছরের অন্য সময়ে ওভালে বহু ম্যাচ হয়েছে। স্রেফ জুন মাস বাদ। ফলে বহু প্রতীক্ষিত বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের (World Test Championship) আগে কিয়া ওভালের পিচ এবং আবহাওয়া দুটোই খানিক ধাঁধার মতো হতে পারে।
এমনিতে ওভালে পেসাররা দিনের শুরুর দিকে ভাল সুইং পান। বেলা গড়ালে সেটা খানিকটা কমে ব্যাটারদের স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার সুযোগও থাকে। আবার ম্যাচের শেষদিকে স্পিনাররা যে একেবারেই সাহায্য পান না, সেটাও বলা যাবে না। তবে যে কোনও টেস্টে পিচ কেমন খেলবে, তার অনেকটাই নির্ভর করে আবহাওয়ার উপর। মজার কথা হল, এই জুন মাসের আবহাওয়ায় ওভাল কেমন খেলবে, সেটার কোনও অতীত ইতিহাস না থাকায় দুই শিবিরই খানিকটা ধন্দে। ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা যেমন বলেই দিচ্ছেন, “এখানে পিচ কথায় কথায় চরিত্র বদলায়। আজ একরকম, কাল একরকম।”
[আরও পড়ুন: Dilip Ghosh: ‘ভয় পেয়েছেন, উঠল বাই তো কটক যাই’, মুখ্যমন্ত্রীর ওড়িশা সফরকে খোঁচা দিলীপের]
এমনিতে আর পাঁচটা বিলেতি পিচের মতো ওভালের (Oval) পিচও একেবারে সবুজ ঘাসে ঢাকা। যা দেখে এক মুহূর্তের জন্য হৃদকম্প বেড়ে যেতে পারে ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের। এক লহমায় ওভালের ২২ গজের দিকে তাকালে মনে হতে পারে, কেউ যেন সযত্নে ঘাসের চারা পুঁতে রেখে গিয়েছে। যার ফসল বুধবার থেকে পেতে পারেন প্যাট কামিন্স (Pat Cummins), মিচেল স্টার্করা (Mitchell Starc)। নিন্দুকেরা বলেন, বল একটুখানি নড়লেই ভারতীয় টপ অর্ডার ব্যাটারদের হাঁটু কাঁপে। তার উপর এই সবুজ ঘাসের উপর যদি বিশ্বের অন্যতম সেরা দুই পেসার নতুন ডিউক বল নিয়ে স্বমহিমায় লীলাখেলা শুরু করে দেন, তাহলে রোহিত থেকে শুরু করে রাহানে পর্যন্ত সকলকেই বেশ ভাল মতো বেগ পেতে হবে। অন্তত সেই আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
[আরও পড়ুন: অন্য পুরুষের প্রেমে মত্ত নওয়াজউদ্দিনের স্ত্রী, ডিভোর্সের আগেই ‘কুকীর্তি’ ফাঁস আলিয়া সিদ্দিকির!]
তবে এখনই ‘গেল গেল’ রব তোলারও অবশ্য বিশেষ কিছু নেই। প্রথমত, রোহিতরা ভালমতোই জানেন নতুন বলে সুইং পাবেন অজি পেসাররা। সেই মতো তাঁরা প্রস্তুত হওয়ার সুযোগ পাবেন। তাছাড়া, ওভালের ইতিহাস বলছে, ধৈর্য ধরে কোনওক্রমে মধ্যাহ্নভোজ অবধি টিকে গেলে পরে সেই ধৈর্যের সুফল ঘরে তুলতে পারবেন ব্যাটাররা। তাছাড়া প্যাট কামিন্স বা স্টার্করা যদি সুইং পেতে পারেন, তাহলে তো মহম্মদ শামি বা মহম্মদ সিরাজও স্টিভ স্মিথদের নাকানিচোবানি খাওয়াবেন। ভুলে গেলে চলবে না ভারতের দুই পেসারই কিন্তু দুর্দান্ত ফর্মে। তাই ওভালের সবুজ ঘাস যদি রোহিতদের ত্রাসের কারণ হয়, তাহলে পিচ দেখে স্মিথ বা ওয়ার্নাররা আনন্দে উৎফুল্ল হবেন, ভেবে নেওয়ার কোনও কারণ নেই।