সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের (World War II) সময়ে ডুবে গিয়েছিল জাহাজটি। ৮৬৪ জন সৈনিকের মৃত্যু হয় এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায়। অবশেষে ৮৪ বছর পরে খোঁজ মিলল সেই জাহাজের। অস্ট্রেলিয়ার (Australia) প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, কয়েকদিন আগেই ১৯৪২ সালে ডুবে যাওয়া জাহাজটির ধ্বংসাবশেষ মিলেছে। প্রসঙ্গত, অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে এই ঘটনাটিকে “জলপথে সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা’ হিসাবে অভিহিত করা হয়।
কী করে ডুবেছিল এই জাহাজ? জানা গিয়েছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার প্রায় এক বছর কেটে যাওয়ার রওয়ানা হয় মন্টেভিডিও মারু নামে একটি জাপানি (Japan) জাহাজ। মূলত এই জাহাজের কাজ ছিল যুদ্ধবন্দিদের অন্য দেশে নিয়ে যাওয়া। ১৯৪২ সালের জুলাই মাসে অস্ট্রেলীয় সেনাদের নিয়ে পাপুয়া নিউ গিনি থেকে চিনের হাইনানে যাচ্ছিল জাহাজটি। পথেই জাহাজ লক্ষ্য করে টর্পেডো হামলা চালায় আমেরিকা। দক্ষিণ চিন সাগরে (South China Sea) ডুবে যায় জাহাজটি। মৃত্যু হয় ৮৬৪ জন অজি সৈনিকের। যদিও তাঁরা যুদ্ধবন্দি ছিলেন কিনা তা জানা নেই। এই ঘটনায় সবমিলিয়ে ১ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।
[আরও পড়ুন: একসঙ্গে ৬০ পুরসভায় নিয়োগের দায়িত্বে অয়নের সংস্থা, নেপথ্যে কার হাতযশ? খুঁজছে CBI]
ঘটনার দীর্ঘ সময় কেটে যাওয়ার পর ডুবে যাওয়া জাহাজটি খুঁজে বের করতে উদ্যোগী হয় অস্ট্রেলিয়ার সরকার। একাধিক সমুদ্র বিশেষজ্ঞ সংস্থাকে আর্থিক সাহায্য করেছে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা দপ্তর। দীর্ঘদিন ধরে এই জাহাজের ধ্বংসাবশেষ খোঁজার কাজ চালায় বেশ কয়েকটি সংগঠন। অবশেষে শনিবার অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রিচার্ড মার্লেস জানান, সমুদ্রের ১৩ হাজার ১২৩ ফুট নীচে জাহাজের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গিয়েছে। যদিও এই ঘটনায় যাঁদের মৃত্যু হয়েছিল, তাঁদের পরিবারের কেউই বেঁচে নেই বলেই অনুমান করা যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, প্রতি বছর ২৫ এপ্রিল ‘আনজাক ডে’ হিসাবে পালিত হয় অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে। নানা ক্ষেত্রে তাঁদের যে সৈনিকরা শহিদ হয়েছেন, এই বিশেষ দিনে তাঁদের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়। সেই দিনের আগেই খোঁজ মিলেছে এই জাহাজের। সেই প্রসঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেন, এই জাহাজের সন্ধান পাওয়ার ফলে একটি অধ্যায় শেষ হল। জলপথে অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় বিপর্যয়ের ঘটনাক্রমের সমাপ্তি।