সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিজাব (Hijab) না পরার অপরাধে ইরানের পুলিশি হেফাজতে মাহসা আমিনির (Mahsa Amini) মৃত্যু- এই খবর প্রকাশ করার সাজা পেলেন দুই মহিলা সাংবাদিক। তাঁদের সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে ইরানের (Iran) প্রশাসন। দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, আমেরিকার সঙ্গে হাত মিলিয়ে জাতীয় সুরক্ষা বিঘ্নিত করেছেন তাঁরা। এছাড়াও প্রোপাগান্ডা ছড়ানোরও অভিযোগ উঠেছে দুই মহিলা সাংবাদিকের বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মৃত্যু হয় ইরানের মাহসা আমিনির।
ইরানের আইনি খবরের ওয়েবসাইট মিজান সূত্রে জানা জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত দুই সাংবাদিকের নাম নিলুফার হামেদি ও ইলাহিহ মহম্মদি। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে হিজাব না পরার কারণে গ্রেপ্তারি ও পরে পুলিশি হেফাজতে মাহসা আমিনির মৃত্যু- এই গোটা খবর বিশ্বের দরবারে প্রকাশ করেছিলেন নিলুফার। অন্যদিকে, মাহসার শেষকৃত্যের খবর কভার করেন ইলাহিহ। প্রায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বিচার চলে দুই মহিলা সাংবাদিকের বিরুদ্ধে।
[আরও পড়ুন: একের পর এক সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, অষ্টমীর সন্ধ্যায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড উল্টোডাঙায়]
তেহরানের আদালতের রায়ে দোষী সাব্যস্ত হন দুই সাংবাদিক। বলা হয়, আমেরিকার সঙ্গে ষড়যন্ত্রে হাত মিলয়েছেন তাঁরা। সেই সঙ্গে প্রশাসনের বিরোধিতা করে প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছেন। দেশের জাতীয় সুরক্ষাও লঙ্ঘিত হচ্ছে তাঁদের আচরণে। তাই সাত বছরের জন্য কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে দুই মহিলা সাংবাদিককে। তবে এই রায়ের বিরোধিতা করে আদালতে আবেদন করতে পারবেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের মে মাসেই দুই সাংবাদিককে পুরস্কৃত করেছিল আমেরিকা। সত্য ও বিশ্বাসযোগ্যতার প্রতি আনুগত্যের পুরস্কার পেয়েছিলেন তাঁরা। উল্লেখ্য, চলতি মাসেই একইভাবে পুলিশি হেফাজতে বেধড়ক মারধর করা হয় আরেক ইরানি কিশোরী আরমিতা জেরাভান্দকে। বেশ কয়েকদিন যমে-মানুষে টানাটানির পরে রবিবার তার ব্রেন ডেথের খবর মিলেছে। তবে ঘটনাটি চেপে যাওয়ার জন্য তার পরিবারের উপর চাপ তৈরি করছে প্রশাসন।