সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মসজিদে আত্মঘাতী হামলার বদলা। জঙ্গি দমন অভিযান চালিয়ে ২ তালিবান (Taliban) জেহাদিকে খতম করল পাকিস্তান। প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরক-সহ ৪ জনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। পেশোয়ারের মসজিদের হামলার বদলা নিতে উত্তর পশ্চিম পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে লাগাতার অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। শনিবারের অভিযানে বড় সাফল্য় মিলেছে বলে দাবি পাকিস্তানের।
তেহরিক-ই-তালিবানের (TTP) হামলার জেরে ত্রস্ত পাক প্রশাসন। কখনও পুলিশ খুন তো কখনও নিরাপত্তারক্ষীদের উপর হামলা চালাচ্ছে জেহাদিরা। দিন কয়েক আগে মসজিদে জঙ্গি হামলা হয়েছে। প্রাণ গিয়েছে শতাধিক মানুষের। জখম ২০০’র বেশি। এরপরই জঙ্গি দমনে তেড়েফুঁড়ে নামে পাকিস্তান (Pakistan) প্রশাসন।
[আরও পড়ুন: জামিয়া হিংসায় শারজিল, সফুরারা ‘বলির পাঁঠা’, ১১ অভিযুক্তকে নিষ্কৃতি দিল্লির আদালতের]
আঞ্চলিক পুলিশ আধিকারিক মহম্মদ আলি গান্ডাপুর জানিয়েছেন, তেহরিক-ই-তালিবানের এই দুই কমান্ডারের উপর দীর্ঘদিন ধরেই নজর ছিল। ৫ পুলিশ আধিকারিকের মৃত্যু ও একাধিক চেক পয়েন্টে হামলার সঙ্গে যুক্ত ছিল তারা। ৫ লক্ষ টাকারও বেশি দাম রাখা হয়েছিল তাদের মাথার। অভিযানে ৪ জেহাদিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে প্রচুর বিস্ফোরক ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।
এদিকে তেহরিক-ই-তালিবানকে মদত দিচ্ছে, এই অভিযোগ তুলেছিল পাকিস্তান। সেই অভিযোগ নস্যাৎ করে আফগানিস্তানের বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি জানিয়েছেন, অরকারণে দোষারোপ না করে পাকিস্তান সরকারের উচিত হামলার আসল কারণ খুঁজে বের করা। এই ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত হওয়া উচিত। এটা পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ সমস্যা। এর জন্য আফগানিস্তানকে দায়ী করা উচিত নয়। এর মাঝেই তালিবান জেহাদিদের বিরুদ্ধে দমন অভিযান শুরু করল পাকিস্তান।
[আরও পড়ুন: ‘ওর মতো বোলার পাকিস্তানে প্রচুর আছে’, কোহলিকে ছেড়ে এবার উমরানকে নিয়ে পড়লেন সোহেল]
সম্প্রতি এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানে তালিবান শাসন কায়েম হওয়ার পর থেকেই অতিসক্রিয় হয়ে উঠেছে বিভিন্ন জেহাদি সংগঠনগুলি। বিশেষ করে পাকিস্তানে একাধিক হামলা চালিয়েছে টিটিপি। বারবার আলোচনায় বসেও সংগঠনটিকে অস্ত্র পরিহারে বাধ্য করতে পারেনি পাক প্রশাসন। পেশোয়ারের মসজিদে আত্মঘাতী বিস্ফোরণের দায় নেয় পাক তালিবান বা তেহরিক-ই-তালিবান (TTP)। জেহাদি সংগঠনের কমান্ডার সরবাকফ মহম্মদ হামলার দায় স্বীকার করে।