সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বের অন্যতম ঐতিহ্যশালী জাদুঘর ব্রিটিশ মিউজিয়াম। আর এই মিউজিয়াম থেকেই চুরি হয়েছে অন্তত দু’ হাজার দুষ্প্রাপ্য শিল্প সামগ্রী। এমন তথ্যই প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ। যা নিয়ে ইতিমধ্যে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
বিবিসি সূত্রে খবর, ব্রিটিশ মিউজিয়ামের (British Museum) চেয়ারম্যান জর্জ অসবোর্ন জানিয়েছেন, “আনুমানিক দু’হাজার শিল্প সামগ্রী চুরি গিয়েছে। মিউজিয়ামের কর্মীরা খোয়া যাওয়া জিনিসপত্র শনাক্ত করার কাজ করছেন। চুরি যাওয়া সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে সোনার গয়না, বিভিন্ন রত্ন, ভাস্কর্য। এগুলি প্রায় সাড়ে তিন হাজার বছরের পুরনো। সম্প্রতি এই জিনিসগুলির কোনওটিই জনসমক্ষে প্রদর্শন করা হয়নি।” ঘটনার দায় স্বীকার করে তিনি আরও বলেন, “চুরির ঘটনায় ব্রিটিশ মিউজিয়ামের খ্যাতি নষ্ট হয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে আমরা এই চুরির শিকার হয়েছি। চুরি আটকাতে আগেই ব্যবস্থা নেওয়া যেত, কিন্তু তা গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়নি।”
[আরও পড়ুন: পার্কে গেলে হিজাব পরেন না মহিলারা, প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করল তালিবান]
গত শুক্রবারই পদত্যাগ করেন জাদুঘরের ডিরেক্টর হার্টউইগ ফিশার। গোটা ঘটনার জন্য তিনি ক্ষমাও চেয়েছেন। ঐতিহাসিক বিভিন্ন জিনিস অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে, তা নিয়ে সতর্কতার পরেও যথেষ্ট গুরত্ব দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি। ব্রিটিশ মিউজিয়ামের ডেপুটি ডিরেক্টর জোনাথন উইলিয়ামসও জানিয়েছেন, গোটা ঘটনার পর্যালোচনা করা হলে তিনি সরে দাঁড়াবেন।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে এক ব্রিটিশ-ড্যানিশ শিল্প ইতিহাসবিদ শতাব্দি প্রাচীন ব্রিটিশ মিউজিয়াম নিয়ে তাঁর সন্দেহের কথা জাদুঘর কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন। তখন তাঁকে আশ্বস্ত করা হয়েছিল এ বিষয়ে চিন্তা করার কিছু নেই। কিন্তু চলতি বছরের শুরুর দিকে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করার জন্য লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। অনুমান করা হচ্ছে, এই কাজ যে করেছে, সে মিউজিয়ামের সঙ্গে যুক্ত কোনও ব্যক্তি। এতে এক কর্মীকেও বরখাস্ত করা হয়েছে। ফলে গোটা ঘটনায় চূড়ান্ত বিব্রত ২৬৪ বছরের পুরনো ব্রিটিশ মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ।