সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইস্টারের পরেরদিন, ২১ এপ্রিল প্রয়াত হয়েছেন ক্যাথলিকদের সর্বোচ্চ ধর্মযাজক পোপ ফ্রান্সিস। ভ্যাটিকানের কাসা সান্তা মার্তায় নিজের বাসভবনেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন তিনি। ৮৮ বছরের পোপ ফ্রান্সিসের প্রয়াণের পর পোপের শূন্য সিংহাসনে বসবেন কে? শোকে পাথর হলেও ভবিষ্যতের পথ খুঁজতে নেমেছে ক্যাথলিক সমাজ। আপাতত ভ্যাটিকানের কাজকর্ম সামলাচ্ছেন আইরিশ-মার্কিন কার্ডিনাল কেভিন ফারেল। স্থায়ী পোপ নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত তিনিই দায়িত্বপ্রাপ্ত। পোপ নির্বাচনের সেই প্রক্রিয়ায় বড়সড় ভূমিকা থাকছে ভারতের চার কার্ডিনালের। চারজনের মধ্যে দু'জন দক্ষিণী, একজন গোয়ার, অপরজন মহারাষ্ট্রের। একঝলকে দেখে নিন তাঁদের পরিচয় এবং ক্ষমতা। তবে তার আগে জেনে নেওয়া যাক কী পদ্ধতিতে পোপ বাছাই হয়।
বিশ্বের ১৩০ কোটি ক্যাথলিকের মধ্যে সকলের কিন্তু এই ক্ষমতা নেই। কার্ডিনালরাই কেবলমাত্র ভোটাধিকার প্রয়োগ করে সর্বোচ্চ ধর্মযাজককে বেছে নিতে পারেন। ৮০ বছর বয়সি মোট ১৩৫ জন কার্ডিনাল এক হয়ে ভোট দেবেন। দুই তৃতীয়াংশ ভোট যিনি পাবেন, তিনিই হবে পরবর্তী পোপ। যতক্ষণ না কোনও প্রার্থী এতটা সমর্থন পাচ্ছেন, ততক্ষণ ভোট প্রক্রিয়া চলবে। সাধারণত পোপের শেষকৃত্যের দু থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে নতুন পোপ নির্বাচিত হয়ে থাকেন। কার্ডিনালরা তার আগে এনিয়ে গোপন বৈঠক করবেন। তাতে থাকবেন ভারতের চারজন কার্ডিনাল, যাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগের ক্ষমতা রয়েছে। প্রথমজন কার্ডিনাল ফিলিপ নেরি ফেরানো। ৭২ বছরের ফিলিপ গোয়া ও দমনের চার্চের আর্চবিশপ। পাশাপাশি ভারতের ক্যাথলিক বিশপস এবং ফেডারেশন অফ এশিয়ান বিশপ কনফারেন্সের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। তিনিই ঘোষণা করবেন পরবর্তী পোপের নাম।
দ্বিতীয়জন কার্ডিনাল বেসলিওস ক্লিমিস। তিরুঅনন্তপুরমের সাইরোম-মালাঙ্কার ক্যাথলিক চার্চের ৬৪ বছরের প্রেসিডেন্ট। তৃতীয়জন ৬৩ বছরের কার্ডিনাল অ্যান্থনি পুলা। হায়দরাবাদের এই আর্চবিশপ প্রথম দলিত কার্ডিনাল হিসেবে নয়া ইতিহাস গড়েছিলেন। আর শেষজন কার্ডিনাল জর্জ জ্যাকব কুভাকাড়। কেরলের ভূমিপুত্র মাত্রে ৫১ বছরের কুভাকাড় আপাতত মহারাষ্ট্রের পারেলে সাইরো-মালাবার ক্যাথলিক চার্চের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। তবে তাঁর আরও বড় ভূমিকা রয়েছে। ২০২১ সাল থেকে পোপ ফ্রান্সিসের আন্তর্জাতিক সফরসূচি ঠিক করার দায়িত্ব কুভাকাড়ের কাঁধে। সব ঠিক থাকলে দ্রুতই ভ্যাটিকান সিটিতে শূন্য আসন পূরণ করবেন নতুন পোপ।
